সিরিজে এগিয়ে যেতে পারলেন না বিরাটরা। প্রথম টি-২০ ম্যাচের হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দল। দ্বিতীয় ম্যাচেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে টি-২০ সিরিজে সমতা ফিরিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে ফের হার। জশ বাটলারের দুরন্ত ব্যাটিং মোতেরায় ইংল্যান্ডকে সহজ জয় এনে দিল। ১৫৭ রান তাড়া করতে নেমে ১০ বল বাকি থাকতে আট উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয় ইংরেজবাহিনী। কাজে এল না বিরাটের অপরাজিত ৭৭ রানের দুরন্ত ইনিংসও। ম্যাচ জিতে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন মর্গ্যানরা।
মঙ্গলবার করোনার কারণে দর্শকশূন্য ছিল স্টেডিয়াম। মোতেরায় মঙ্গলবার টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান ইংল্যান্ড অধিনায়ক অইন মর্গ্যান। গত ম্যাচের মতো এদিনও শূন্য রানেই ফিরে যান কে এল রাহুল। এর ফলে রাহুল গড়ে ফেললেন লজ্জার রেকর্ডও। আশিস নেহরা, অম্বাতি রায়ডুর পর তৃতীয় ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে একটি টি-২০ সিরিজে সবচেয়ে দু’বার শূন্য রানে আউট হলেন। পাশাপাশি ভারতীয় ওপেনারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে সবচেয়ে বেশি চারবার শূন্য রানে আউট হলেন। একই রেকর্ড রয়েছে রোহিতেরও।
এদিন সিরিজে প্রথমবার নেমে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালই করেছিলেন রোহিত। কিন্তু ১৫ রান করেই আর্চারের বলে আউট হয়ে যান তিনি এরপর গত ম্যাচে জয়ের অন্যতম নায়ত ঈশান কিষানও ফিরে যান চার রান করে। ব্যর্থ হন শ্রেয়সও (৯)। তবে প্রথমে ঋষভ (২৫) এবং শেষদিকে হার্দিককে (১৭) সঙ্গে নিয়ে দলের রান দেড়শো পেরোতে সাহায্য করেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। গত ম্যাচে অপরাজিত ৭৩ রানের পর এদিন বিরাটের ব্যাট থেকে বেরোল আরও একটি দুরন্ত ইনিংস। ৪৬ বলে ৭৭ রান করে অপরাজিত রইলেন তিনি। মারলেন ৮টি চার এবং ৪টি ছয়। মূলত তাঁর ব্যাটে ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারতের রান দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৫৬ রান।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জেসন রয়ের (৯) উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। কিন্তু উলটোদিকে বাটলার ছিলেন মারমুখী মেজাজে। কার্যত একাই ভারতীয় বোলারদের উপর ছড়ি ঘোরাতে থাকেন। প্রথমে ডেভিড মালান (১৮) পরে বেয়ারস্টোকে (৪০*) সঙ্গে নিয়ে ১০ বল বাকি থাকতে ইংল্যান্ডকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। শেষপর্যন্ত ৫২ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।সহজেই ম্যাচটি বের করে নিয়ে যায় ইংল্যান্ড। এই ম্যাচ জেতায় পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।