কলকাতার বড়বাজার এলাকার স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ে দমকলবাহিনীর তৎপরতায় অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে এলেও বিরাট ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কয়েকজন দমকল কর্মী, আরপিএফ কর্মী ও হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই সহ মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত মৃত ৯। প্রাণ হারিয়েছেন রেলের ডেপুটি সিসিএম ও তাঁর দেহরক্ষী। দুঘর্টনার খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তার কিছু পরে এসেই পৌঁছোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার পুলিশ কমিশনার কমিশনার সৌমেন মিত্রও উপস্থিত রয়েছেন সেখানে। মৃতের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ও একটি সরকারি চাকরির কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কীভাবে আগুন লাগল, তার তদন্তে বিশেষ দল গঠন করেছে দমকল।
https://www.facebook.com/ekhonkhobor18/videos/2897642197166553
উল্লেখ্য, এদিন আগুন লাগার পরই রেলের কর্তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট বিল্ডিংয়ের ম্যাপ চেয়েছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। যাতে আগুন নেভানোর কাজে সুবিধা হয়। তবে কেউই সেই ম্যাপ এনে দেয়নি। অভিযোগের সুরে তিনি জানিয়ে দেন, দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চান না তিনি। তবে রেলের বিরুদ্ধে পরোক্ষে উদাসীনতার অভিযোগ তোলেন। মমতা বলেন, “এটা রেলের ভবন, অনেক পুরনো ভবন। লিফট দিয়ে উঠতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেমন বিদ্যুতের ঝলক দেহটাকে ঝাঁঝরা করে দেয় পুড়িয়ে, তেমনই ৭ জনকে করে দিয়েছে। রেলের জায়গা এটা, সবটাই রেলেই। খোঁজ নিচ্ছিলাম তাঁদের কেউ আসেনি এখনও। এটা কিন্তু রেলের জায়গা। তাদের উপর দায়িত্ব বর্তায়। দমকল থেকে একটা ম্যাপ চাওয়া হয়েছিল। যাতে বিল্ডিংয়ে কোথায় কী আছে বোঝা যায়। সেক্ষেত্রে কোনও সহযোগিতা করা হয়নি বলেই আমাকে আমার সতীর্থ সুজিত বসু জানিয়েছে। যাই হোক, দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না।”