বাংলায় বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্কলহ। এবার ফের একবার সামনে এসে পড়ল বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। খবর, বিজেপির এক গোষ্ঠীর তরফে ঠাকুরনগরে অমিত শাহের সভার আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছিল বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিত্ দাসকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও শাহের সভায় ঢুকতে তাঁকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। শেষমেশ শুভেন্দু অধিকারীর হস্তক্ষেপে জট কাটলে সভায় পৌঁছন বিশ্বজিত্।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রায় আধ ঘণ্টা অমিত শাহের সভার বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। আমন্ত্রণ পত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁকে সভায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। এই খবর পাওয়ার পরেই শান্তনু ঠাকুরকে ফোন করে তাঁকে ভিতরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন শুভেন্দু। বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, বনগাঁয় এক প্রকার একাধিপত্য কায়েম করতে চাইছেন শান্তনু ঠাকুর। বিশ্বজিৎকে বনগাঁ উত্তরের প্রার্থী করা নিয়ে তাঁর আপত্তি রয়েছে। শান্তনু চাইছেন, বনগাঁ লোকসভার আওতায় সাতটি বিধানসভা আসনে তাঁর পছন্দের প্রার্থীরা টিকিট পান। তবে রাজ্য বিজেপির এক নেতা বলেন, দুলাল বর, বিশ্বজিৎ দাসরা অনেক আগে দল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন। তাঁদের নিজ নিজ আসনে প্রার্থী করার ব্যাপারে তখন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তার খেলাফ করলে ভুল বার্তা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে বিশ্বজিত্ তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন। পরে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তবে কয়েকদিন আগেই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে দেখা যায় তাঁকে। নোয়াপাড়ার বিধায়ক তথা বিজেপিতে যোগ দেওয়া সুনীল সিংও ছিলেন বিশ্বজিতের সঙ্গে। পরে দুজন মমতার সঙ্গে একান্তে বৈঠকও করেন। সন্ধ্যায় যদিও দেখা যায় হেস্টিংসে বিজেপি দফতরে গিয়েছেন দুজনেই। কারণ, ততক্ষণে ফোনে যোগাযোগ করে দুজনকেই বোঝানোর পালা চলে বলে খবর।