বামেদের হরতালে আংশিক প্রভাব রাজ্যে। তবে আসানসোলের বেশ কিছু এলাকায় বনধ সমর্থককারীরা রাস্তায় পথচারী ও আরোহীদের মারধর করে বলে জানা যাচ্ছে। যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বাইক আরোহীকে বেধরক চড় থাপ্পড় মারছেন বাম ধর্মঘটীরা। বাইক আরোহীর হেলমেট খুলে তাঁকে মারার চেষ্টা করা হয়। কোনও রকমে তাঁদের খপ্পড় থেকে পালিয়ে বাঁচেন ওই বাইক আরোহী। জানা গিয়েছে, তাঁকে উত্তেজিত ধর্মঘটীদের হাত থেকে রক্ষা করেন বনধ সমর্থনকারীদেরই একাংশ।
ধর্মঘটীদের অভিযোগ মহিলারা যখন ব্যরিকেড করে রাস্তা আটকে দাঁড়ায় তখন ওই বাইক আরোহী ব্যরিকেড ভেঙে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই বচসা বেধে যায়। বাইক আরোহী জানিয়েছেন, তিনি তাঁর বয়স্ক বাবাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলেন। তার পথ আটকায় বাম সমর্থকরা। পিছনের সিটে বসে থাকা বয়স্ক ব্যক্তি বনধ সমর্থককারীদের মারধর বন্ধ করার অনুরোধ জানায়, কিন্তু কোনও লাভ হয়না। খানিক পড়ে বনধ সমর্থনকারীদেরই একাংশ তাঁকে সেখান থেকে তাঁকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাইক ধরে পিছনে দৌড়ে আটকানোর চেষ্টা করেন একজন। কিন্তু ব্যর্থ হন। মাটিতে পড়ে যান তিনি।
অন্যদিকে রায়গঞ্জের একটি স্কুলের সামনে পিকেটিংয়ে বসে এসএফআই সদস্যরা। পড়ুয়াদের স্কুলে ঢুকতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে পুলিশ এসে অবস্থা সামাল দেয়। চালু হয় স্কুল। পড়ুয়াদের দাবি, দীর্ঘ লকডাউনের পর স্কুল খুলছে। তারা বনধে আটকে না পড়ে স্কুল করতে চায়।