তাঁদের ওপর পুলিশি হেনস্থা চলছেই। বিক্ষোভস্থলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা, জল ও বিদ্যুৎ সংযোগও কেটে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার পরেও দমে যাননি তাঁরা। এমনকী হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় জলকামান দেগেও তাঁদের সরানো যায়নি। চরম জলকষ্টের মধ্যে এখনও নিজেদের অবস্থানে অনড় কৃষকরা। সরকার আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত সিঙ্ঘু সীমানা থেকে একচুলও সরবেন না বলে জানিয়ে দিলেন তাঁরা। বরং জানিয়ে দিলেন, দিল্লী পুলিশের আচরণ তাঁদের হতাশ করলেও, মনোবল ভাঙতে পারেনি একেবারেই।
প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব ও দিল্লির সংযোগস্থল সিঙ্ঘু সীমানায় দেড় কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে এই মুহূর্তে ৪-৫ ফুট চওড়া কংক্রিটের দেওয়াল মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার পিছনে রয়েছে পাঁচস্তরীয় ব্যারিকেড। মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে পেরেক-গজাল, যাতে আন্দোলন কোনও ভাবেই রাজধানীতে পৌঁছতে না পারেন। তবে এখানেই শেষ নয়। আন্দোলনকারী কৃষকদের কাছে জলের সরবরাহ একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এত দিন যে চলমান শৌচাগার ব্যবহার করছিলেন তাঁরা, সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তা-ও। যে কারণে এই মুহূর্তে প্রকাশ্যেই শৌচকর্ম সারতে হচ্ছে আন্দোলনকারী কৃষকদের। আন্দোলনকারী মহিলাদেরও প্রকাশ্যেই সারতে হচ্ছে শৌচকর্ম। কিন্তু এতেও দমে না গিয়ে ‘কানুন ওয়াপসি নেহি তো ঘর ওয়াপসি নেহি’ স্লোগান তুলেছেন তাঁরা।