বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম নামী কোম্পানি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে আমাজন। মূলত তাঁর হাত ধরেই স্টার্ট আপ হিসেবে কোম্পানিটি শুরু হয়েছিল একসময়। সেই জেফ বেজসই এবার সংস্থার সিইওর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চলেছেন। গত মঙ্গলবারই নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। বলেন, চলতি বছরই সিইও পদে ইস্তফা দেবেন।
আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। কোম্পানি তাঁর কাছে সন্তানতুল্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও এত বড় সিদ্ধান্তটি চূড়ান্তই করে ফেলেছেন জেফ। কেন সিইও পদ ছাড়ছেন তিনি? তবে কি অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা? জেফ জানাচ্ছেন, আরও বৃহত্তর স্বার্থেই তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন। তাঁর কথায়, “লকডাউনের সময় কোম্পানি দারুণ সাফল্য পেয়েছে। লাভের মুখও দেখেছে। আর এটাই আমার এনার্জি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অবসর নেওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব আমার কাজের ইচ্ছেকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী অতিমারীর জেরে গৃহবন্দী মানুষের কাছে অনলাইনই ছিল আদর্শ মাধ্যম। শপিং থেকে সিনেমা দেখা- সব সুবিধাই দিয়েছে ই-কর্মাস সাইটগুলি। যার অন্যতম আমাজন। ফলে লকডাউনে কোম্পানির লাভের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। রেভিনিউ বেড়ে হয়েছে ৪৪ শতাংশ। আর এই ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফকে আরও উপরের দিকে নিয়ে যেতেই একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে জেফের। সেদিকে মনোনিবেশ করতেই সিইও পদটি ছাড়বেন তিনি। সেই চেয়ারে বসবেন আমাজন ওয়েব সার্ভিসের প্রধান অ্যান্ডি জ্যাসি।
জেফ বলেন, “কোম্পানির প্রায় জন্মলগ্ন থেকেই আমাজনের সঙ্গে যুক্ত অ্যান্ডি। কোম্পানির খুঁটিনাটি সবটাই ও জানে। ওর উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। খুব ভাল নেতৃত্ব দেবে।” উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে নিজের গ্যারাজে কোম্পানি শুরু করেছিলেন জেফ। ধীরে ধীরে বিশ্বের সঙ্গে পরিচিতি ঘটে। আর বর্তমানে অনলাইন শপিং, মিউজিক, স্ট্রিমিং, ক্লাউড কম্পিউটিং, রোবোটিক্স, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স-সহ নানা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এই মার্কিন সংস্থা।