বিরোধীদের উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করাই হোক বা হুমকি দেওয়া থেকে কুকথার ফোয়ারা ছোটানো— সবেতেই দিলীপ ঘোষের জুড়ি মেলা ভার। লোকসভা ভোটের প্রাক্কালেও বিতর্কের শিরোনামে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়াকে উদ্দেশ্য করে দিলীপ বলেছেন, সুন্দর মুখ দেখে আর ভোট দেবে না। আবার তৃণমূল কর্মীদের আক্রমণ করে তাঁর মন্তব্য, কানের নিচে দু’থাপ্পড় মারলে ৭ দিন শুনতে পাবে না। আর এবার বর্ধমানের বহিষ্কৃত বিজেপি নেতাকে পাশে বসিয়ে চা-চক্র করে খোদ দলের অস্বস্তি বাড়ালেন বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। যদিও বিতর্কের মুখে দিলীপের সাফাই, এটা পার্টির কর্মসূচি নয়, তাঁর ব্যক্তিগত কর্মসূচি। যদিও প্রশ্ন উঠছে, দলীয় প্রার্থী হিসাবেই তো তিনি বর্ধমান-দুর্গাপুরে লড়ার টিকিট পেয়েছেন!
প্রসঙ্গত, এবার মেদিনীপুর কেন্দ্রে বিদায়ী সাংসদ দিলীপ টিকিট দেয়নি বিজেপি। তাঁর ঠাঁই হয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে। যেখানে লড়াই তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কীর্তি আজাদের সঙ্গে। নতুন কেন্দ্রে আসা ইস্তক দিলীপের মুখ থামেনি। প্রতিদিনই প্রাতর্ভ্রমণে বেরোচ্ছেন এবং বিরোধীদের উদ্দেশে একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করে যাচ্ছেন। তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে বিতর্কও। মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম হল না। এদিন সকালে ইছলাবাদ ইয়ুথ ক্লাবের মাঠে দিলীপ গেলে তাঁর হাতে হকি স্টিক তুলে দেন শ্যামল রায়। এই শ্যামলকেই বহিষ্কার করেছে বিজেপি। বহিষ্কৃত নেতার দেওয়া হকিস্টিক এবং বল দিয়ে কিছু ক্ষণ খেলতেও দেখা যায় দিলীপকে। তার পরে বহিষ্কৃত নেতাকে পাশে নিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, বহিষ্কৃত নেতাকে পাশে নিয়ে প্রার্থী দিলীপ কি বিজেপির দলীয় অনুশাসন ভাঙছেন না? এই প্রশ্নের জবাবে হকিস্টিক হাতে দিলীপের সাফাই, ‘এটা পার্টির কর্মসূচি নয়। জেলা সভাপতি বা রাজ্য সভাপতির ব্যাপারও নয়। এটা দিলীপ ঘোষের নিজস্ব প্রোগ্রাম। দিলীপ ঘোষের ব্র্যান্ড চা-চক্র।’