কারও পাতে পেল্লাই সাইজের ডাবচিংড়ি, তো কারও মনের সুখে বড়সড় চিকেন টেংরি চিবোতে ব্যস্ত। রিসোতো কিংবা সালসা চেখে দেখছেন, এমন মানুষের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। বৃহস্পতিবার থেকে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে শুরু হওয়া খাদ্যমেলায় এমনই টুকরো ছবি দেখা গেল। মেলার পোশাকি নাম – ‘চেটে পুটে’। থিজম ইভেন্টস ও মধ্য কলকাতা ক্লাব সমন্বয় সমিতি আয়োজিত মুখরোচক এই খাদ্যমেলা চলবে ৩১ তারিখ পর্যন্ত। বাঙালির প্রিয় রকমারি পদ তো আছেই, দেশি-বিদেশি হরেক নতুন ডিশ দিয়ে সাজানো ‘চেটে পুটে’র পাত। মেলায় এসে সেসব ‘চেটে পুটে’ না দেখলেই নয়।
বৃহস্পতিবার চিকেন তন্দুরির স্বাদ নিয়ে মেলার উদ্বোধন করলেন বিশিষ্ট অভিনেতা খরাজ মুখোপাধ্যায়। খাদ্যরসিক খরাজের কথায়, “খেতে খুবই ভালোবাসি আর নিজে রান্নাও করি। এমন খাদ্য মেলায় এসে খুব ভাল লাগছে। সবাইকে বলব নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখুন, কিন্তু খাওয়ার থেকে নয়।” উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী পণ্ডিত মল্লার ঘোষ, মল্লিকা ঘোষ, বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রদীপ ঘোষ। এই মেলায় থাকছে নানা স্বাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। থাকবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠান। উদ্যোক্তা সজল ঘোষের কথায়, “মহামারীর কারণে সব ব্যবসাই ক্ষতির মুখে পড়েছে। এখন আমরা সবাই একটু ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় আছি। আশা করছি, প্রতি বছরের মতোই এবারেও ভালো রেসপন্স পাব।”
‘খাদ্যরসিক’ – এই শব্দবন্ধ উচ্চারণ করলে পাশাপাশি যা মনে আসে, তা হলো ‘বাঙালি’ শব্দটি। মাছে-ভাতে বাঙালি বলে সুখ্যাতি হলেও এখন নানা স্বাদের রসগ্রহণে পৃথিবীর যে কোনও পদ চেখে দেখতে বাঙালির উৎসাহই সবচেয়ে বেশি। আর এক মাঠেই যদি নানা দেশের হরেক পদ এসে হাজির হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। এ বছর পাঁচ বছর পূর্ণ হচ্ছে থিজম ইভেন্টস ও মধ্য কলকাতা ক্লাব সমন্বয় সমিতি আয়োজিত মুখোরোচক খাদ্যমেলা ‘চেটে পুটে’র। মূল উদ্যোক্তারা হলেন মধ্য কলকাতা ক্লাব সমন্বয় সমিতির সজল ঘোষ, থিজম ইভেন্টসের পার্থপ্রতীম সাহা।