একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই মিটিং, মিছিল শুরু করেছে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেস প্রত্যেকটি দলই। তবে বিরোধী দলগুলির মধ্যে জোর টক্কর দিচ্ছে বিজেপিই। তাই তৃণমূল-বিজেপি উভয়েই চাইছে নিজেদের উন্নয়ন মূলক কাজগুলিকে সকলের সামনে তুলে ধরে লড়াইয়ের ময়দানে এগিয়ে থাকতে। সেইসঙ্গে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করতে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ লেগেই রয়েছে।
রবিবার ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকেও একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্র, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বঙ্গ বিজেপির নেতা-সকলকেই তোপ দাগলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু, কৈলাসের পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও একহাত নিলেন তৃণমূল অভিষেক। তাঁর বিরুদ্ধে করা দিলীপ ঘোষের মামলা প্রসঙ্গে বললেন, “ওনাকে আইনের পথে হাঁটতে দেখে ভাল লাগল।” পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসী সুরে বললেন, একুশেও বাংলার দায়িত্ব পাবেন মমতাই।
লাগাতার ‘ভাইপো’ সম্বোধন করে কটাক্ষ প্রসঙ্গে সুর চড়িয়ে বলেন, “আমি বলেছিলাম ক্ষমতা থাকলে কেউ আমাকে নাম ধরে আক্রমণ করুন। ভাইপো বলে নয়। আমি তারপর উত্তর দেব। আমি তো নাম করে বলতে পারি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছেলে গুন্ডা।” এরপরই দিলীপ ঘোষকে ‘গুন্ডা’ কটাক্ষ ও পাল্টা বিজেপি সাংসদের করা মামলা প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “দিলীপবাবু আমার নামে মামলা করেছিলেন। অনেক কিছু লিখেছিলেন। আমার ভাল লাগল যে উনি গুন্ডাগিরি ছেড়ে আইনের পথে হেঁটেছেন।”
এদিনের সভা থেকে দিলীপ ঘোষের ‘বাংলায় অবাঙালিদের অবদান বেশি’ মন্তব্যের পাল্টা দিতে গিয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ স্মরণ করেন, বিদ্যাসাগর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস, রামমোহন রায়দের মত বাঙালি মনীষীদের। প্রশ্ন তোলেন, এই বাঙালিরা না থাকলে আজকের দিনটা আসত কি না। পাশাপাশি হুঙ্কার ছে়ড়ে ‘যুবরাজ’ বলেন, বাংলাকে কোনওভাবেই গুজরাট হতে দেবেন না তাঁরা। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন ততদিন বিজেপি যত যাই করুক, লাভ হবে না। বাংলাকে সোনার বাংলা তৃণমূলই বানাবে, কোনো বহিরাগত নয়।