“বাংলায় যেনতেন প্রকারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।”- আজ এই ভাষাতেই মোদী সরকারকে আক্রমণ করে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করল শিবসেনা। দলের মুখপত্র ‘সামনা’-তে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণের পাশাপাশি বিরোধীদের দুর্বলতাকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি উদ্ধব ঠাকরের দল। সেই সঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, এভাবে চলতে থাকলে একদিন এই দেশও সোভিয়েত ইউনিয়নের মতোই ভেঙে যাবে।
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারকে ফেলে দেওয়ার পিছনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উল্লেখযোগ্য ভূমিকার আছে বলে বোমা ফাটিয়েছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর এমন বক্তব্যের তুমুল নিন্দা করার পাশাপাশি এই প্রসঙ্গে শিবসেনার প্রশ্ন, কী করে দেশের প্রধানমন্ত্রী কোনও রাজ্যের সরকারের স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করতে পারেন? এই প্রসঙ্গেই উঠে আসে বাংলার কথাও।
শিবসেনা ঠিক কী লিখেছে তাদের সম্পাদকীয়তে? সেখানে স্পষ্টতই এ রাজ্যের ক্ষেত্রেও বিজেপি শীর্ষ নেতাদের অতি সক্রিয়তা ও কেন্দ্রের ভূমিকার নিন্দা করা হয়েছে। শিবসেনার মতে, ‘‘গণতন্ত্রে রাজনৈতিক পরাজয় খুবই সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা ব্যবহার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেনতেন প্রকারণে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তা দুঃখজনক।’’ পাশাপাশি রাজ্যে বড় আকারের সভা ও রোড শো করা নিয়েও বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে শিবসেনা। করোনা পরিস্থিতিতে ওই ধরনের সভার সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লেখা হয়েছে, ‘‘শাসকই নিয়ম ভাঙছে। মানুষকে তার মূল্য চোকাতে হচ্ছে।’’
এভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিবসেনা। ‘সামনা’-র সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘‘যদি কেন্দ্র বুঝতে না পারে যে তারা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে গিয়ে মানুষের ক্ষতি করে ফেলছে, তাহলে খুব বেশি দেরি নেই, আমাদের দেশের রাজ্যগুলিও সোভিয়েত ইউনিয়নের মতোই ভেঙে যাবে। ২০২০ সালের দিকে ফিরে দেখলে সত্যিই কেন্দ্রীয় সরকারের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।’’