একুশের আগে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোণঠাসা করার লক্ষ্যে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক, দুই দিক থেকেই এরাজ্যের শাসক শিবিরকে খাদের কিনারে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের শাসক শিবির। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল ভাঙানো থেকে আইপিএস প্রশ্নে বাংলার সরকারকে ক্রমাগত বিব্রত করা নিয়ে একে একে মমতার পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ভূপেশ বাঘেলদের মতো বিজেপি বিরোধী নেতারা। তবে আরও একধাপ এগিয়ে পর পর দু’দিন তৃণমূল নেত্রীকে ফোন করলেন শরদ পাওয়ার। রবিবারের পর সোমবারেও ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-র নেতার সঙ্গে ফোনে কথা হল তৃণমূল মমতার।
সূত্রের খবর, নয়া কৃষি আইন-সহ নানা ইস্যুকে সামনে রেখে আগামী বছরের জানুয়ারিতে কলকাতায় বিরোধী শিবিরের নেতাদের নিয়ে জনসভার আয়োজন করা হতে পারে। যার নেতৃত্বে তৃণমূল নেত্রী। তা নিয়েই কথা হয়েছে দু’জনের। বিধানসভা ভোটের আগে এ রাজ্যে শরদ আসতে পারেন বলেও এনসিপি সূত্রে খবর। সোমবার এনসিপি-র মুখপাত্র নবাব মালিক বলেন, ‘সরকারি কর্তাদের সরিয়ে নিয়ে এবং রাজ্যের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করে বিজেপি কী ভাবে বাংলায় স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করছে তা নিয়ে দু’জনের আলোচনা হয়।’ দেশের বিজেপি-বিরোধী শিবিরের মুখদের একজোট করে মমতা-শরদ শীঘ্রই বৈঠকে বসতে পারেন বলেও জানিয়েছেন নবাব।
প্রসঙ্গত, আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে বিজেপি-বিরোধী শিবিরের মুখগুলিকে একজোট করে কলকাতায় হতে চলেছে জনসভা। ওই সভায় থাকতে পারেন আম আদমি পার্টির প্রধান কেজরিওয়াল, লালুপুত্র তথা রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর নেতা তেজস্বী যাদব এবং ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন। সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারিতেই এককাট্টা দেখা যেতে পারে বিজেপি-বিরোধী শিবিরকে। বিজেপির বিরুদ্ধে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, নয়া কৃষি আইন এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোগত একাধিক ইস্যুকে হাতিয়ার করে ফের এক বার ময়দানে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধীরা। পর পর দু’দিন মমতা-শরদ ফোনালাপে সেই প্রচেষ্টা আরও গতি পেল বলেই মনে করা হচ্ছে।