চোটের জেরে মরশুমের শুরু থেকে ছন্দে ছিলেন না ডেভিড উইলিয়ামস। ম্যাচ ফিটনেসের অভাবও ছিল সুস্পষ্ট। তবে অজি উইঙ্গার ছন্দে ফিরতেই পুরনো মেজাজে ধরা দিল হাবাসের দল। রবিবার উইলিয়ামসের করা দুরন্ত গোলে বেঙ্গালুরু এফসিকে হারাল এটিকে মোহন বাগান। মনবীর-রয় কৃষ্ণারা প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ব্যবধান বাড়তেই পারত। উল্লেখ্য, এই হারের সঙ্গে সঙ্গে চলতি প্রতিযোগিতায় অপরাজিত আখ্যা হারাল বাগিচা শহরের দলটি। ৭ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। পয়েন্ট সমান হলেও গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকার সুবাদে শীর্ষে মুম্বই সিটি এফসি। পক্ষান্তরে, ৭ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় স্থানে বেঙ্গালুরু এফসি।
চলতি আইএসএলে মোহন বাগান রক্ষণকে অনেক বেশি সংঘবদ্ধ দেখিয়েছে। সোমবারও তার কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। সন্দেশ-তিরিদের সামনে বেঙ্গালুরুর যাবতীয় আক্রমণ ভোঁতা হয়ে যায়। ৭০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল ফিজির তারকা রয় কৃষ্ণার কাছে। তবে তাঁর শট ক্রসপিসের উপর দিয়ে চলে যায়। মিনিট তিনেক পরে সমতা ফেরাতে পারত বেঙ্গালুরুও। ৭৩ মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে ক্লেটন সিলভা লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন। এরপরই রক্ষণে লোক বাড়াতে প্রবীর দাস ও গ্লেন মার্টিন্সকে নামিয়ে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন হাবাস।
প্রথম ছ’টি ম্যাচে সাতবার প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছিলেন রয় কৃষ্ণারা। প্রত্যেকটি গোল এসেছিল দ্বিতীয়ার্ধে। তবে সোমবার বিরতির আগেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যভেদ করেন উইলিয়ামস। এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে হাবাসের দল। সোমবার স্প্যানিশ কোচ দল সাজিয়েছিলেন ৫-৪-১ ফর্মেশনে।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই গোলের সুযোগ পান রয় কৃষ্ণা। তবে তাঁর শট ব্লক করেন হুয়ান। এরপর প্রান্তিক আক্রমণে ঝড় তুলে বিএফসি রক্ষণে চাপ বাড়ায় মোহন বাগান। ৩৩ মিনিটে একমাত্র গোল তারই ফসল। কার্ল ম্যাকহাগের বাড়ানো ঠিকানা লেখা লম্বা পাস খুঁজে নেয় বক্সের বাঁ দিকে থাকা উইলিয়ামসকে। তারপর ইনসাইড কাটে খাবরা ও প্রতীককে বোকা বানিয়ে ডান পায়ের শটে জাল কাঁপান তিনি (১-০)।
বিরতির পরেও চাপ বজায় রাখে মোহন বাগান। ৫১ মিনিটে ডেভিড উইলিয়ামসের দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এদিন বেঙ্গালুরু আক্রমণভাগে কার্যত খুঁজে পাওয়া যায়নি সুনীল ছেত্রীকে। আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়াতে ৬১ মিনিটে তিনটি পরিবর্তন করেন বেঙ্গালুরু কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। এরমধ্যে ছিলেন গত মরশুমে মোহন বাগানে খেলা ফ্রান গঞ্জালেস মুনোজ।