রবিবার বিকেলে বোলপুরের কালিকাপুরে যখন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে তৃণমূলের ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’ চলছে, তখন বোলপুরেরই ডাকবাংলো মোড় থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত রোড শো করেন অমিত শাহ। তিনি দাবি করেন, তাঁর রোড শোয়ে কেউই ‘বহিরাগত’ নন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সেই দাবি উড়িয়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কটাক্ষ, বিজেপির রোড শোয়ে বহিরাগতদেরই ভিড়। তাঁর দাবি, বোলপুরে অমিত শাহের মিছিলে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে বহু মানুষ এসেছেন। সেইসঙ্গে অনেকে কাটোয়া থেকেও এসেছেন। এমনকী মুর্শিদাবাদ থেকে ১০০-র বেশি গাড়ি করে লোক এসেছে মিছিলে। একইসঙ্গে এদিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে পাগল বলেও কটাক্ষ করেন অনুব্রত।
এদিন বোলপুর কালিকাপুরে ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’র বিশাল মিছিল চলাকালীন বিজেপিকে আক্রমণ করে অনুব্রত বলেন, ‘আমি এখানে জনসভা করলে আমার জেলার লোক নিয়ে করি। আমাকে মুর্শিদাবাদ, আসানসোল, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান থেকে লোক আনতে হয় না। ওরা এইসব জেলা থেকে লোক এনে ভিড় দেখাচ্ছে।’ অমিত শাহের রোড শোকে তাঁর কটাক্ষ, ‘এই যে রোড শো, জনসভা দেখাচ্ছে— এ সব আমার কাছে ছোট জিনিস। আমার লক্ষ লক্ষ লোক আনার ক্ষমতা আছে। এক ঘণ্টার নোটিসে এর থেকে বেশি লোক আনতে পারি। কিন্তু বাইরের জেলা থেকে কোনওদিন লোক আনি না। সোনার বাংলা গড়ব বলছে! সোনার ভারত গড়ুক আগে। বীরভূমে সবকটা আসন আমরাই পাব।’
অনুব্রত এদিন দাবি করেন, ‘৪ জানুয়ারি থেকে আমার জনসভা শুরু হবে। ব্লক অনুযায়ী ৮০ হাজার করে লোক করব।’ এদিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অমিত শাহয়ের উপস্থিতিকেও ভাল নজরে দেখেননি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, ‘রবীন্দ্রনাথের জায়গায় এর আগে কখনও রাজনীতি হয়নি। এই প্রথম সেখানে রাজনীতি ঢুকল।’ অমিত শাহের নাম না করে অনুব্রতর চ্যালেঞ্জ, ‘তিনি ১০০ বার আসুক। মিটিং মিছিল করুক। আমরা প্রস্তুত।’ একইসঙ্গে এদিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে তাঁর কটাক্ষ, ‘তিনি তো দল করতে এসেছেন। উপাচার্য বিজেপি করেন। ও তো পাগল লোক। ওর মাথার কিছু ঠিক নেই।’