ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প ভাল সাড়া ফেলেছে। আর সেই প্রকল্পের কাজই সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের দপ্তরে হঠাৎই হাজির হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বললেন স্থানীয়দের সঙ্গে।
মঙ্গলবার রানিগঞ্জে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। তবে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে সভার সময় কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রানিগঞ্জের সভামঞ্চে যোগ দিতে যাওয়ার সময় মেদিনীপুর জেলাশাসকের দপ্তরে ঢুকে পড়েন মমতা। সেই সময় সেখানে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের কাজ চলছিল। আচমকা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের উপস্থিতিতে অবাক হয়ে যান সরকারি আধিকারিকরা। আদৌ ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের সুযোগসুবিধা ঠিকমতো সকলে পাচ্ছেন কিনা, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় ক্যাম্পে উপস্থিত লাইনে দাঁড়ানো বেশিরভাগ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সকলকে বোঝান তিনি। একইসঙ্গে ৫ জনের হাতে তুলে দেন স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডও। পরিদর্শনের পর ফের রানিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাখির চোখ আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের স্বাস্থ্যসাথী, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগের জাতিগত শংসাপত্র ও শিক্ষাশ্রী, আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগের জয় জোহার, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ বিভাগের তফসিলি বন্ধু, নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজ কল্যাণ বিভাগের কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ঐক্যশ্রী, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের মনরেগা বা একশো দিনের কাজ। এছাড়া কৃষি দপ্তরের কৃষক বন্ধু এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের মিউটেশন-সহ মোট ১২টি প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।