বিদ্রোহী কৃষকদের দমাতে শীতে জলকামানের ব্যবহার ‘বর্বোরিত’। বিজেপিকে তোপ দেগে বলল শিবসেনা। সেনা মুখপাত্র সামনায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘আন্দোলনকারী কৃষকরা যেন জঙ্গী। কাশ্মীর সীমান্তে যখন আমাদের সেনা জওয়ানদের হত্যা করছে জঙ্গীরা দিল্লি সীমান্তে তখন আক্রমণ করা হচ্ছে কৃষকদের।’
কৃষক বিদ্রোহের পিছনে খালিস্তানিদের মদত রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টার। সেই দাবি নস্যাৎ করেছে শিবসেনা। মহারাষ্ট্রের শাসক দলের বড় শরিক শিবসেনার মুখপাত্রে বলা হয়েছে, বিজেপি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে। খালিস্তান অধ্যায় শেষ হয়ে গিয়েছে। ইন্দিরা গান্ধী ও জেনারেল অরুণ কুমার বৈদ্য ওদের শেষ করে দিয়েছে।
কৃষক বিদ্রোহে উত্তাল দিল্লী সীমানা। সোমবার বিক্ষোভ পাঁচ দিনে পড়ল। সরকার রাজধানীতে বিদ্রোহীদের প্রবেশ করতে দিতে নারাজ হলেও অনড় আন্দোলনকারী কৃষকরা। দিল্লী অবরুদ্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতেই সিল করা হল দিল্লির সীমানা। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। তার আগে কৃষকদের বিদ্রোহ প্রশমণে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। যার বিরুদ্ধেই সোচ্চার শিবসেনা।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়ে সামনায় শিবসেনার প্রশ্ন, ‘রাজনৈতিক ফায়দার লক্ষ্যে বিজেপি সবকিছু করছে। কিন্তু দেশের শত্রুদের ঠেকাতে কেন এই মরিয়া প্রয়াস দেখা যায় না?’ সেনা জানিয়েছে, সীমান্তে দেশরক্ষার কাজে গিয়ে মহারাষ্ট্রের ১১জন যুবক শহীদ হয়েছেন।
সর্দার বল্লবভাই প্যাটেলের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেও মোদী-শাহকে কটাক্ষ করা হয়েছে সামনায়। উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘বল্লভভাই প্যাটেলও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বহু কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কৃষকদের বিরুদ্ধে সরকার যে ব্যবহার করছে তা দেখে স্ট্যাচু অউ ইউনিটি-র প্যাটেলের মূর্তির চোখও ভিজে যাচ্ছে।’
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ, মোদী সরকার ইডি-সিবিাইকে ব্যবহার করছে রাজনৈতিক স্বার্থে। এই ইস্যুতেও এদিন বিজেপিকে এক হাত নিয়েছে শিবসেনা। সামনায় তারা বলেছে, ‘এইসব কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর বীরত্ব দেখানোর সুযোগ পাওয়া উচিত। সেনাকে সহায়তার জন্য ইডি-সিবিআই আধিকারিকদের লাদাখে পাঠানো উচিত।’