বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়ে বছরের গোড়াতেই কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দিয়েছিল যে আইনে ‘লাভ জেহাদ’-এর কোনও অস্তিত্ব নেই। কিন্তু তার পরেও উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও মধ্যপ্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি লাভ জেহাদ-এর বিরুদ্ধে আইন আনতে উঠেপড়ে লেগেছে। গেরুয়া শিবিরের নেতা-মন্ত্রীরাও প্রকাশ্যে এর বিরোধিতা করছেন। তবে এরই মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। গতবছর আগস্টে উত্তরপ্রদেশে সালামত আনসারি নামে এক মুসলিম যুবক প্রিয়াঙ্কা খারওয়ার নামে এক হিন্দু তরুণীকে বিবাহ করেন। প্রিয়াঙ্কার বাবা-মা সালামতের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। এলাহাবাদ হাইকোর্ট ওই মামলা বাতিল করে দিয়েছে। হাইকোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ বলেছে, ‘কারও ব্যক্তিগত সম্পর্কে বাধা দেওয়া যায় না। তাহলে ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়। দু’জন মানুষের পরস্পরকে বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আছে।’
সালামত আনসারি কুশীনগরের বাসিন্দা। তাঁকে বিবাহের আগে প্রিয়াঙ্কা ধর্মান্তরিত হন। তখন তাঁর নাম হয় আলিয়া। বিয়ের পরেই প্রিয়াঙ্কার বাবা-মা সালামতের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, সালামত তাঁদের মেয়েকে ‘অপরাধীর মতো’ অপহরণ করেছে। প্রিয়াঙ্কা তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের সময় মেয়েটি ছিল নাবালিকা। তাই সালামতের বিরুদ্ধে কঠোর পকসো আইনে মামলা করা হয়। এফআইআর বাতিল করার জন্য সালামত কোর্টে আবেদন করেন। এলাহাবাদ হাইকোর্ট ১১ নভেম্বর তাঁর পিটিশন শোনে। ১৪ পাতার অর্ডারে বিচারপতি বিবেক আগরওয়াল ও বিচারপতি পঙ্কজ নাকভি বলেন, ‘কোনও ব্যক্তি যে ধর্মেরই মানুষ হোন না কেন, তিনি নিজের খুশিমতো জীবনযাপন করতে পারেন। প্রত্যেকেরই ব্যক্তিস্বাধীনতা আছে।’