চীন নিয়ে আবারও কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী। এ নিয়ে দিল্লীর রাজনৈতিক শিবিরে আবারও জমে উঠল বিতর্ক।
ডোকলামে চীনা সেনার শিবির তৈরির প্রসঙ্গ টেনে টুইটে রাহুল লেখেন, ‘শুধুমাত্র গালভরা বক্তৃতা আর জনসংযোগকে অস্ত্র করে চিনের ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের মোকাবিলা সম্ভব নয়। ভারত সরকারের পরিচালকদের এ বার এই সরল সত্যিটা উপলব্ধির সময় এসেছে।’
টুইটের সঙ্গেই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবর এবং উপগ্রহ চিত্র পোস্ট করেন রাহুল। সম্প্রতি ওই খবরে উপগ্রহচিত্র তুলে ধরে দাবি করা হয়, ডোকলাম থেকে ভুটানের অন্দরে কয়েক কিলোমিটার ঢুকে এসে আস্ত একটি গ্রাম বানিয়ে ফেলেছে চীন।
রাহুলের টুইটের পরে কংগ্রেসের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের চীন-নীতি নিয়ে একটি বিবৃতি তৈরি করে রাহুলের অবস্থানকেই আরও জোরদার করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, চীন নিয়ে সরকারের এই নীরবতা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। নেপালের সঙ্গে সমস্যা চলছে ভারতের। পাকিস্তান সীমান্তও অস্থির। লাদাখ নিয়ে চীনের সঙ্গে সংঘাতের আবহ তো অনেক দিন ধরেই তৈরি হয়ে আছে। ওই বিবৃতিতে ভুটানের ভিতর চীনের গ্রাম বানানোর প্রসঙ্গও রয়েছে। এমতাবস্থায় মোদী সরকারকে অনেক বেশি সক্রিয় হতে হবে বলে কংগ্রেসের ত্রফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) সঙ্ঘাতের আবহে ডোকলাম মালভূমি এলাকায় ভুটানের জমিতে চীনের জবরদখলের খবর সামনে আসায় জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, শিবির স্থাপনের পাশাপাশি সেখানে রাস্তাও বানাচ্ছে চীন। ইতিমধ্যেই প্রায় ৯ কিলোমিটার বানিয়ে ফেলা সেই রাস্তার অভিমুখ ভারত সীমান্তবর্তী জোমপেলরি গিরিশিরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রাস্তা তৈরি হলে জোমপেলরি গিরিশিরায় সহজেই পৌঁছতে পারবে চীনা সেনা। ২০১৭ সালে ওই শৈলশিরা দখল করতে গিয়েই ভারতীয় সেনার বাধায় পিছু হটেছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। উপগ্রহ চিত্র দেখে সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, ডোকা লা-য় ভারতীয় সেনা-পোস্টের কাছাকাছি থাকা ওই রাস্তা এখন শৈলশিরা পর্যন্ত বাড়িয়ে নিয়েছে চীন।