চাহিদা অনুসারে বাজারে সরবরাহ নেই। যার জেরে দেশজুড়ে অগ্নিমূল্য শাকসবজির দাম। বিশেষত, পেঁয়াজের ঝাঁঝে চোখে জল মধ্যবিত্তের। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় সমানভাবে পাল্লা দিচ্ছে আলুও। এই পরিস্থিতিতে দেশে মুদ্রাস্ফীতি কমার সম্ভাবনা খুবই কম। বরং তা আরও বাড়তে পারে। গত অক্টোবর মাসেও মূল্যবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের উপরে থাকতে পারে বলে মত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের। আর তাঁদের এই পূর্বাভাস মিলে গেলে এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় মাসে মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশের গণ্ডি ছাড়াতে চলেছে।
অকাল বর্ষণ ও কোভিড লকডাউন এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধনের কারণে এই মরশুমে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে সবজি বিশেষত পেঁয়াজ চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নতুন ফসল বাজারে উঠতেও বেশ কিছুটা দেরি হচ্ছে। যার জেরে দাম আকাশ ছোঁয়া। পেঁয়াজের সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যে আলুর দামও আগুন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদেশ থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। শাকসবজির এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি গত অক্টোবর মাসজুড়ে ছিল, যা দেশের সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির হারকে অনেকটা বাড়িয়ে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে জিনিসপত্রের দামে মূল্যবৃদ্ধি সমানভাবে বজায় ছিল। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ওই মাসে পণ্য-পরিষেবার খুচরো দরে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ৭.৩৪%! আগস্ট মাসে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল ৬.৬৯%। অক্টোবর মাসে মূল্যবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৭.৪০ শতাংশ।
এদিকে, ত্রৈমাসিক মুদ্রা নীতি নির্ধারণে মূল্যবৃদ্ধিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। মধ্যমকালীন ভিত্তিতে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির দর ২ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে বেঁধে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্য়াংক। তার মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি ঘোরাফেরা করলে আরবিআই-এর তরফে ঋণনীতি শিথিল করার কিছুটা সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু অক্টোবর মাসেও যদি মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশের বেশি থাকে তবে রেপো রেট হ্রাসের সম্ভাবনা ক্ষীণতর হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।