কুর্সি কার? ভোট গণনার দিন দুপুরের মধ্যেই সাধারণত ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যায়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে নির্বাচন চালু হওয়ার পর থেকে দেশের যেকোনও প্রান্তে যেকোনও ভোটে এটাই ছিল দস্তুর! কিন্তু করোনা যে সব হিসেব ওলট–পালট করে দিয়েছে। বিহার নির্বাচনের ভোট গণনায় তা আরও একবার হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া গেল। স্পষ্ট চিত্র পেতে দুপুর গড়িয়ে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে এ রাজ্যেও তো ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন। এখানেও কি এমনটাই হতে চলেছে?
মহামারীর প্রকোপ জারি থাকলে পশ্চিমবঙ্গেও একই চিত্র দেখা যাবে বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরের আরেক কর্তা জানান, এ রাজ্যেও বুথ পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। যেসব বুথে দেড় হাজারের বেশি ভোটার রয়েছে সেগুলোকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের আগেই প্রাথমিকভাবে ৯৯ বুথ বাড়বে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর চিত্রটা আরও স্পষ্ট হবে।
নির্বাচন কমিশনের এক কর্তার কথায়, ভাইরাসের প্রকোপ জারি থাকলে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে। বিহারের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে যেহেতু আসন সংখ্যা আরও বেশি সেক্ষেত্রে সেখানে গণনায় আরও বেশি সময় লাগতে পারে। এমনকী পরের দিনও হয়ে যেতে পারে।