২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল- টানা ৮ বছর তিনি আমেরিকার সেকেন্ড লেডি ছিলেন। আর এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করে জো বাইডেন হোয়াইট হাউজের দখল নেওয়ার পর, তিনিই হলেন আমেরিকার ফার্স্ট লেডি। জিল বাইডেন। তবে পেশায় তিনি একজন অধ্যাপক। নতুন পদাধিকারী হলেও চাকরি ছাড়ছেন না ৬৯ বছরের বাইডেন-পত্নী। আমেরিকার ২৩১ বছরের ইতিহাসে তিনিই হতে চলেছেন প্রথম ফার্স্ট লেডি, যিনি হোয়াইট হাউসে থেকেই চালিয়ে যাবেন তাঁর চাকরি।
১৯৭৭ সালে জো বাইডেনের সঙ্গে বিয়ে হয় জিলের। বছরের পর বছর ধরে তিনিই তাঁর ৭৭ বছরের স্বামীর বিশ্বস্ত পরামর্শদাতা। একইসঙ্গে তিনি একজন মা, একজন ঠাকুমা। আবার পেশায় তিনি ইংরেজির অধ্যাপক। ফার্স্ট লেডি হওয়ার পরও ফুলটাইম চাকরি চালিয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ওয়াহো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের এক অধ্যাপক ক্যাথেরিন জেলিসনের কথায়, “বেশিরভাগ আমেরিকান মহিলার একটি কর্মজীবন আর একটি পারিবারিক জীবন থাকে। কিন্তু ফার্স্ট লেডিদের কোনওদিন তা করার অনুমতি ছিল না। হয়তো এ বার সেই সময় এসেছে, যদিও বেশিরভাগ আমেরিকান ফার্স্ট লেডির সঙ্গে ফোনে কথা সারকে স্বচ্ছন্দ বোধ করবে, যিনি হোয়াইট হাউসে ২৪×৭ অন কলে থাকতে পারবেন।” ফার্স্ট লেডি হিসেবে তিনি শিক্ষগত ক্ষেত্রে নানা কাজ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় জো বাইডেনের যুবতী স্ত্রী ও কন্যার মৃত্যু হয়। দুই ছোট ছেলেকে নিয়ে একা হয়ে পড়েন বাইডেন। অপরদিকে, ১৯৫১ সালে জন্মানো জিল জেকবস ফিলাডেলফিয়াতেই বড় হয়ে ওঠেন। তাঁর সঙ্গে তাঁর প্রথম স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া যখন চলছে, তখনই তাঁর সঙ্গে বাইডেনের দেখা হয়। তখন বাইডেন একজন মার্কিন সেনেটর। এরপর ১৯৭৭ সালে বাইডেনকে বিয়ে করে তাঁর দুই ছেলে হান্টার ও বিউকে কোলে তুলে নেন জিল। আর ১৯৮১ সালে তাঁর ও বাইডেনের কোলে আসে কন্যা অ্যাশলে।