এদিন সকাল থেকেই মহাজোটের এগিয়ে থাকা চিন্তায় ফেলেছিল বিজেপি ও নীতীশ কুমারকে। কিন্তু বেলা গড়াতেই তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় এনডিএ। একটা সময় ১৩৪ আসনে এগিয়ে যায় বিজেপি। মহাজোটের এগিয়ে থাকা আসনের সংখ্যা নেমে যায় ৯৮তে। তবে ফের এখন উঠে এসেছে মহাজোট। মূলত সকাল ছিল বিরোধীদের। দুপুর থেকে সন্ধ্যা শাসকের, আবার সন্ধ্যা থেকেই ঘুরতে শুরু করেছে বিহারের ভোটচিত্র।
ভোটের ফলের ট্রেন্ড দেখে অনেকেই বলতে শুরু করেন, লড়াই দিলও বিহারের ক্ষমতায় সেই এনডিএ’ই। সমস্ত সংবাদমাধ্যমেও বিজেপি নেতারা এমন দাবিও করতে থাকেন। কিন্তু সন্ধ্যার পরই আবার কামব্যাক করেছেন তেজস্বীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, বিজেপি-জেডিইউ জোট এগিয়ে রয়েছে ১১৯ আসনে, কংগ্রেস-বাম আর তেজস্বীর নেতৃত্বাধীন আরজেডি জোট এগিয়ে ১১৬ আসনে আর অন্যান্যরা এগিয়ে ৮ আসনে। অর্থাৎ খেলা ঘুরে যেতে পারে যে কোনও সময়।
তবে এবার নির্বাচনের ফল ঘোষণার শুরু থেকেই কমিশন বলে আসছে, ফল ঘোষণা সম্পূর্ণ হতে মাঝরাত পেরিয়ে যাবে। একইসঙ্গে ফলাফলের প্রাথমিক ট্রেন্ড দেখেই যে ভবিষ্যত্ বিচার করা ঠিক হবে না, তারও আভাস দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়, কোন পক্ষ জিতবে তা এত আগে বলা মুশকিল। কমিশনের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলা হয়, পুরো চিত্রটা সামনে আসতে প্রায় মাঝরাত পেরিয়ে যাবে। তবে ভোটগ্রহণ ও গণনা সম্পূর্ণ ত্রুটিবিহীন রয়েছে বলেই দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন।
জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ ভোট গণনা সম্পূর্ণ হয়েছে বিহারে। মোট সাড়ে ৪ কোটি ভোটের মধ্যে ৩ কোটি ভোট গণনা সম্পূর্ণ হয়েছে। এখনও ১০টি আসনে ১০০০ ভোটের নীচে ব্যবধান রয়েছে। একক বৃহত্তম দল হিসেবে এগিয়ে রয়েছে আরজেডি। ৭৫টি আসনে এগিয়ে তেজস্বী যাদবের আরজেডি, ৭৩টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। শেষ খবর অনুযায়ী, এনডিএ এগিয়ে ১১৯, মহাজোট ১১৪, অন্যান্যরা ৮ আসনে এগিয়ে।