বাংলার আইনশৃঙ্খলার দিকে না তাকিয়ে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলার দিকে নজর দিক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।আজও সেখানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।উত্তরপ্রদেশ নয় যোগীর জামানায় রাজ্যটা এখন ধর্ষণ প্রদেশ হয়েছে। বাংলার আইনশৃঙ্খলা অবনতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এভাবেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ও জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
এদিন ফের রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও মুখ খুলেছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।তিনি বলেন, “রাজ্যপালের ভূমিকা নিরপেক্ষ নয়।তিনি একটি রাজনৈতিক দলের এজেন্সি হয়ে কাজ করছেন।ওঁর ভূমিকায় আমরা বিরক্ত।ভারতীয় সংবিধান এমনভাবে হওয়া উচিত যেখানে রাজ্যপাল রাজনীতি করতে পারবে না।”
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “বাংলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে সুন্দর ভাবে চলছে।এরাজ্যে সেভাবে কোনও রাজনৈতিক গন্ডগোল হয়না।অমিত শাহ বাংলা নিয়ে না ভেবে বরং উত্তরপ্রদেশে নজর দিন। আজও সেখানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।” উত্তরপ্রদেশ এখন ধর্ষণ প্রদেশ হয়ে গেছে বলে এই দিন অভিযোগ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপি নেতৃত্ব ও মন্ত্রীরা এই রাজ্যে বারবার ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি তুলেছেন।এই বিষয় খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “যা খুশি করুক।এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা সবাই জানে।মমতা বন্দোপাধ্যায়ের লড়াই দেখেছে ভারতের মানুষ।তিনি কোন জায়গায় পৌঁছাতে পারেন তা কেন্দ্রীয় সরকার খুব ভালোভাবে জানে। দুটো সাংসদ কি দাবি করল তাতে কিছু আসে যায়না। তাঁরা সাংসদ নয়,ছোকরা।২০২৪-এ এঁরা আর সাংসদ হিসেবে আসতে পারবে না” বলে দাবি করেন খাদ্য মন্ত্রী।