আকাশে-বাতাসে পুজোর আমেজ থাকলেও সকলের মনেই কিঞ্চিত ভয়। মানতে হচ্ছে একাধিক নিয়ম। এড়িয়ে চলতে হচ্ছে জমায়েত। যে কারণে চলতি বছরে ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো বুধবার উদ্ধোধন করেছিলেন রাজ্যের ৬৯টি পুজোর। বৃহস্পতিবার আরও ১১০টি পুজোর উদ্বোধন করে সকলকে মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনামুক্ত বাংলার জন্য দেবীদুর্গার কাছে প্রার্থনা করলেন তিনি।
পুজো উপলক্ষে সেজে উঠেছে নবান্নের সভাঘর। শিউলি ফুল, প্রদীপ থেকে ঢাকি, পুজোর সমস্ত সামগ্রীই রয়েছে সেখানে। এসবের মাঝে দাঁড়িয়েই বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি পশ্চিম বর্ধমান, পূ্র্ব বর্ধমান, হুগলী, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪পরগনার পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। শঙ্খ, কাঁসর বাজিয়ে দেবীকে আহ্বান জানান তিনি। নবান্নের সভাঘরে দাঁড়িয়ে বারবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভার্চুয়ালি পুজোর সূচনা করলেও মনে মনে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন সকলের মাঝে। সকলকে পুজোর শুভেচ্ছা জানান। অনু্ষ্ঠানের শেষপ্রান্তে চণ্ডীপাঠও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু এত কিছু মাঝেও বারবার সকলকে করোনা নিয়ে সতর্ক করেছেন মু্খ্যমন্ত্রী। ধর্মীয় অনুষ্ঠান বাতিল করা সম্ভব নয় একথা জানিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পুজো হবে। তবে নিয়ম মেনে।’ ক্লাবগুলিকে সচেতনভাবে আয়োজন করার পরামর্শ দেন। সাধারণ মানুষকেও বলেন সচেতন থাকতে। এরপরই তিনি দেবীদুর্গার কাছে অশান্তি, দাঙ্গা, করোনা মুক্ত বাংলার জন্য প্রার্থনা করেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই প্রার্থনার মধ্য দিয়ে তিনি নাম না করে কার্যত বিজেপিকেই খোঁচা দিয়েছেন। পাশাপাশি পড়ুয়াদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্যও এদিন দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশংসা করেন বিভিন্ন পুজো কমিটির। এসবের সঙ্গেই এদিন চাকরিপ্রার্থীদের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতিও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।