টানা তিন ম্যাচ হারল চেন্নাই সুপার কিংস। শুক্রবার সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ সাত রানে হারিয়ে দিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দলকে। হারের হ্যাটট্রিক করায় আইপিএলের সাপ-লুডোর পয়েন্ট টেবলে আট নম্বরেই রয়ে গেল চেন্নাই। হায়দ্রাবাদ উঠে এল চার নম্বরে।
টসে জিতে হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠায় সিএসকে। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় এক সময় বিপাকে পড়ে গিয়েছিল সানরাইজার্স। কিন্তু প্রিয়ম গর্গের বুক চেতানো লড়াই ম্যাচে ফিরিয়ে আনে অরেঞ্জ ব্রিগেডকে। নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে তারা তোলে ১৬৪ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই সুপার কিংস নির্ধারিত ২০ ওভারে তোলে পাঁচ উইকেটে তোলে ১৫৭ রান। ফলে হায়দরাবাদ ম্যাচ জিতে যায় ৭ রানে। হায়দরাবাদের মতোই চেন্নাইয়ের টপ অর্ডার এদিন ব্যর্থ হয়। মাত্র ৪২ রানের মধ্যে চেন্নাইয়ের চারটি উইকেট পড়ে যায়। ফর্মে থাকা ডু’প্লেসিকে (২২) রান আউট করেন প্রিয়ম গর্গ। জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড় প্রিয়ম গর্গই ম্যাচের নায়ক। দল যখন চাপে তখন প্রিয়ম একটি ঝোড়ো ইনিংস উপহার দেন। দারুন বোলিং করলেন রশিদ খান। তিনি উইকেট না পেলেও চার ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের ক্রিজে বেধে রাখেন।
৬৯ রানের মধ্যে হায়দ্রাবাদের চার নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দিয়েছিল সিএসকে। শেষ পর্যন্ত হায়দ্রাবাদের দুই তরুণ ক্রিকেটার প্রিয়ম গর্গ (২৪ বলে ৫০ রান) ও অভিষেক শর্মা (৩১ বলে ২৪ রান) পঞ্চম উইকেটে ৭৭ রান যোগ করে দলকে লড়ার মতো পুঁজি জোগাড় করে দেন। এখানে ১৬৫ রান খুব খারাপ ছিল না। চেন্নাইয়ের ইনিংসের সময় উইকেট মন্থর হয়ে। গিয়েছিল। পঞ্চম উইকেটে রবীন্দ্র জাদেজা ( ৩৬ বলে ৫০) ও ধোনি (৪৭ নট আউট) ৭২ রান জোগাড় করে লড়াই করেছিলেন। শেষরক্ষা হয়নি।
দুবাইয়ে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মরিয়া লড়াই ক্রিকেটভক্তদের স্মৃতিতে অনেক দিন জীবন্ত থাকবে। বয়স থাবা বসিয়েছে তাঁর শরীরে। আগের সেই তেজ হারিয়েছেন। তার উপরে মরুশহরের প্রবল গরম ধোনির শক্তি শুষে নিয়েছিল অনেকটাই। এক রানকে দু’ রানে পরিণত করার জন্য বিদ্যুৎগতিতে দৌড়লেন। ঘাটতি দেখা দিল দমে। ব্যাট করার সময়ে ঘর্মাক্ত ধোনিকে হাঁপাতে পর্যন্ত দেখা গেল। এ দৃশ্য এর আগে কখনও দেখেনি ক্রিকেটবিশ্ব। শটে পাচ্ছিলেন না জোর। খেলার শেষে ধোনির স্বীকারোক্তি, “খুব জোরে মারার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু টাইমিং ঠিকঠাক হচ্ছিল না।” অসহায় লাগছিল বহু যুদ্ধের সৈনিককে।