আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুরন্ত লড়াই করেও দিল্লী ক্যাপিটালসের কাছে হারতে হয়েছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে। দিতে হয়েছিল আম্পায়ারের ভুল ‘শর্ট রান’ কলের চরম খেসারত। তা না হলে খেলা সুপার ওভারেই গড়াত না। প্রথম ম্যাচের সেই হতাশা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ লোকেশ রাহুলদের সামনে। বৃহস্পতিবার তাঁরা মুখোমুখি হবেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর।
তবে শিশির নিয়ে চিন্তিত ফিঞ্চ। তিনি বলছেন ‘‘এই প্রতিযোগিতায় শিশির খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। ম্যাচগুলোয় যতটা আশা করা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি শিশির পড়েছে।’’ ফিঞ্চ আরও বলেছেন, ‘‘এর পরে যত প্রতিযোগিতা গড়াবে, একই পিচে বারবার খেলা হবে। তখন পিচ আরও ধীর গতির হয়ে উঠবে। শিশিরের ভূমিকাও আরও বাড়বে।’’ পাশাপাশি বিরাট কোহলির দলে খেলছেন, তাঁর বিরুদ্ধে নয়, এতে খুশি ফিঞ্চ। ‘‘বিরাটকে আমি খুব সম্মান করি। মাঠে ও খুব আগ্রাসী। ওর বিরুদ্ধে খেলাটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাই ওর সঙ্গে একই দলে খেলতে দারুণ লাগছে”।
অন্যদিকে, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব অপেক্ষায় থাকবে অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও তারকা অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দ্রুত ছন্দে ফেরার। দিল্লী ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে দুই তারকাই চরম হতাশ করেছেন। তবে বাকিদের ব্যর্থতা ঢেকে পাঞ্জাবের ইনিংসকে একার কাঁধে জয়ের দোরগোড়ায় টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। কিন্তু ৬০ বলে ৮৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। সুপার ওভারের হার মায়াঙ্ককে ট্র্যাজিক হিরো বানিয়ে দেয়। সেই হতাশা থেকেই ব্যাট হাতে বিস্ফোরণ ঘটানোর নতুন রসদ খুঁজবেন তিনি। পাঞ্জাবের সবচেয়ে বড় চিন্তা স্পিন বোলিংয়ের দুর্বলতা। দুই পেসার সামি ও কটরেল ছন্দে থালেও মিডল ওভারে প্রতিপক্ষের উপর চাপ বজায় রাখার মতো অভিজ্ঞ কোনও স্পিনার নেই তাদের।