শনিবার রাজ্যসভায় মহামারী সংশোধনী বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। এই বিলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বলেন, ‘এই বিল আসলে রাজ্যের সাংবিধানিক ক্ষমতায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ।’
এদিন বিল পেশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সালে সারা বিশ্ব এবং দেশে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চিকিৎসক, প্যারামেডিক-সহ অনেক স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড-১৯-এর অজ্ঞানতায় নিগৃহীত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার এব্যাপারটি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এধরনের ঘটনা রোধে আইন থাকাটা জরুরি। ২২ এপ্রিল কেন্দ্র একটা অধ্যাদেশ এনেছিল এবং সেটা সংশোধন করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের নিগ্রহ বা তিরস্কার করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ এবং সাজা পেতে হবে।’ তারপর থেকেই ওই ধরনের ঘটনা অনেটাই কমেছে বলে দাবি করেন হর্ষ বর্ধন।
এরপর তৃণমূল সাংসদ ডেরেক কেন্দ্রকে ঠুকে বলেন, ‘আপনারা এতদিনে স্বাস্থ্যকর্মীদের কথা ভাবছেন? বাংলায় সেই ২০০৯ সাল থেকে মেডিকেয়ার সার্ভিস প্রিভেনশন অফ ভায়োলেন্স অ্যান্ড ড্যামেজ টু প্রপার্টি অ্যাক্ট আছে। সেটার কী হবে? বিলটা হল রাজ্যগুলির সাংবিধানিক ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করা।’ স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের সুরক্ষার্থে এবং তাঁদের উপর কোনওরকম হিংসা রোধে বাংলায় যে ২০০৯ সাল থেকেই আইন চালু আছে, শনিবার সংসদে তার ব্যাখ্যা দিয়ে তৃণমমূল সাংসদের পরামর্শ, ‘আপনারা সাংবিধানিক চৌকাঠ পেরোতে পারেন না, আপনারা আপাদের কাজ করুন, মুখ্যমন্ত্রীদের তাঁদের কাজ করতে দিন।