রাস্তার মেরামতি সম্পূর্ণ না করেই প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসককে ভুয়ো তথ্য দেওয়ার অভিযোগ। তদন্ত সাপেক্ষে এক বিভাগীয় ডিজিকে শোকজের নির্দেশ দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
করোনার জেরে নির্দিষ্ট সময়ে পুরভোট না হওয়ায় কাউন্সিলরদের ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরের পদ দেওয়ার পর এদিন প্রথম বৈঠক বসে। মাসিক অধিবেশন ডাকার আইনি ক্ষমতা না থাকায় বিকল্প হিসাবে সমন্বয় বৈঠকে প্রতিটি ওয়ার্ডের অভাব অভিযোগ এবং দাবিদাওয়া শোনেন পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক। করোনা ও আমফান সামাল দেওয়ার জন্য শাসক দলের কাউন্সিলরদের পাশাপাশি বাম পুর দলের নেত্রী রত্না রায় মজুমদার এবং কংগ্রেস পুরদলের নেতা প্রকাশ উপাধ্যায়রাও ফিরহাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
শুক্রবার পুরসভার সমন্বয় বৈঠকে উত্তর কলকাতার ১ নম্বর বরোর কো–অর্ডিনেটর তরুণ সাহা পুরমন্ত্রীকে অভিযোগ করেন, “কাশীপুর রোড, খগেন চ্যাটার্জি রোড ও বিবির বাজারের সংযোগস্থলের কাজ কেইআইপি এখনও রাস্তা সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ করেনি। কাশীপুর ও লকগেটের রাস্তা বেহাল। টালা ব্রিজ বন্ধ থাকায় ভারী বৃষ্টির জেরে এলাকা কর্দমাক্ত হয়ে ভয়ানক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উত্তর শহরতলি ও কলকাতার বাসিন্দারা।” কিন্তু তরুণবাবুর কথা শেষ হওয়ার আগেই পুরমন্ত্রী বলেন, “কেইআইপির ভারপ্রাপ্ত ডিজি সৌম্য গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই কাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে।” স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কথায় কার্যত বিস্মিত পুরসভার মুখ্য প্রশাসক এরপর কমিশনারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে তাঁকে রিপোর্ট দিতে বলেন। পরে তিনি জানান, “যদি দেখা যায় ওই ডিজি ভুয়ো তথ্য দিয়েছেন, তা হলে শোকজ করা হবে।” পুরমন্ত্রী আশ্বাস দেন, পুজোর আগে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শহরের সমস্ত ওয়ার্ডের রাস্তা মেরামত, আমফানে ভেঙে যাওয়া আলো সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ হবে।