সম্প্রতি ২০২০-২১ আর্থিক বছরের প্রথম তিন মাসের জিডিপি হার প্রকাশিত হয়েছে। অভূতপূর্ব সঙ্কোচনের কবলে ভারতের অর্থনীতি। দেশের গড় উৎপাদন বেনজিরভাবে সঙ্কুচিত হয়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.৯ শতাংশে। এবার ভারতের বার্ষিক জিডিপির পূর্বাভাস পেশ করল ফিচ। তাদের মতে অন্তত ১০.৫ শতাংশ সঙ্কোচন বজায় রেখে বছর শেষ করবে ভারতীয় অর্থনীতি।
একটি ওয়েবিনারে ফিচ রেটিংস ইন্ডিয়ার হেড ইকনমিস্ট সুনীল সিনহা জানিয়েছেন, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি স্বাভাবিক জায়গায় ফিরতে পারে বলে আশা করছি। কিন্তু যা ইঙ্গিত, বৃদ্ধির গতি শ্লথ ও বন্ধুর হবে।
ফিচের পূর্বাভাসে উভয় সঙ্কটে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজকোষ ঘাটতি যাতে লাগামছাড়া না হয়, সেজন্য সারা বছর কড়া নজরদারি রাখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। রাজকোষ ঘাটতি বাড়লে রেটিং সংস্থাগুলো রেটিং কমায়। ফলে বিশ্ব বাজারে ঋণ পাওয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা কমে। কিন্তু এবার অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। জিডিপি কমার অর্থ হল উৎপাদনে আঘাত এসেছে। মানুষ খরচ করতে চাইছেন না বা পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে ঋণ নির্ভর আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাজারের অবস্থা বুঝতে না পারলে কে নেবে ঋণ? ফলে কাজে আসছে না আর্থিক প্যাকেজ। এখন একমাত্র উপায় রাজকোষে বরাদ্দ বৃদ্ধি। বাজারে সরকার নগদ যোগাবে। একদিকে রেশন অন্যদিকে নগদ হস্তান্তর। বাজারের আত্মবিশ্বাস ফেরানোর আর কোনও রাস্তা নেই, বলছেন তাবড় অর্থনীতিবিদরা। কিন্তু এভাবে রাজকোষের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে, যার ফলশ্রুতি রেটিং কমে যাওয়া। কী উপায়? উত্তর খুঁজছে অর্থ মন্ত্রক।