গত ১-২ মাস ধরেই পূর্ব লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। লাদাখের গালওয়ান ঘাঁটিতে ২ দেশের হিংসাত্মক লড়াইয়ে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর পর প্রতিশোধের আগুনে ফুটে উঠেছিল দেশ। যদিও দেশের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, ভারতের মাটিতে কোনও অনুপ্রবেশ করেনি চীনের সেনাবাহিনী। প্রধানমন্ত্রীর সেই হ্যাঁ-তে হ্যাঁ মেলান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। এদিকে মোদীর দাবি খারিজ করে বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে এক নথি আপলোড করা হয়, যেখানে বলা হয়েছে মে মাসে লাগাতার ভারতের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছে চীনা ফৌজ। যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে সে তথ্য দেওয়ার অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই ফের সরিয়ে ফেলা হল সেই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাস থেকে চীনের আগ্রাসন নীতির বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছিল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার গালওয়ান, প্যাংগং লেক, গোগরার মত এলাকাগুলিতে। ১৭ ও ১৮ মে নাগাদ গালওয়ান, প্যাংগং লেক, গোগরা, হট স্প্রিংয়ের মতো প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অবস্থিত একাধিক এলাকায় হঠাৎই অনুপ্রবেশ করে চীনের সেনাবাহিনী। সরকারি তথ্য অনুযায়ী ৫ মের পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চীনের আগ্রাসন নীতি ভারতের নজরে এসেছিল। এবং ৫ ও ৬ মে’তে লাল ফৌজ এর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে ছিল ভারতের সেনাবাহিনী।
কিন্তু আজ স্পষ্টভাবে এই তথ্য প্রকাশ করার পর হঠাৎই কিছুক্ষণের মধ্যে ফের তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ওয়েবসাইট থেকে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে কেন এমনটা করা হল, সে বিষয়ে কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনার পর বিরোধীদের তরফ চীনের ভারত ভূখণ্ড অনুপ্রবেশ নিয়ে বারবার যে কথা জোর দিয়ে বলা হচ্ছিল, তা নতুন মাত্রা পেল।