করোনাকে হারিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর। বেসরকারি হাসপাতালেই শেষ হল তাঁর জীবনযুদ্ধ। বৃহস্পতিবার দুপুরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই বর্ষীয়ান নেতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
দিন কয়েক আগে করোনা পজিটিভ হয়ে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী। প্রথম দিকে মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করতে পারলেও ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সোমবার রাত থেকে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখেন চিকিৎসকরা। বুধবার দুপুরের পর থেকেই অবস্থার অবনতি হতে থাকে সিটু নেতার। শেষমেশ আজ জীবনযুদ্ধ থেমে গেল ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলনের নেতার।
ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে সপ্তাহ দেড়েক আগে নর্থসিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল শ্যামলবাবুকে। তারপর করোনা উপসর্গ ধরা পড়ায় তাঁকে স্থানান্তরি করা হয় পিয়ারলেস হাসপাতালে। সেখানে তাঁর রিপোর্ট আসে পজিটিভ। মাঝে একদিন ভেন্টিলেটর সাপোর্ট তুলেও নিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। গতকাল শ্যামলবাবুর মেয়ে তথা অভিনেত্রী ঊশষী চক্রবর্তীকে ফোন করে বর্ষীয়ান বাম নেতার খোঁজ খবর জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৫-২৬ জুলাই সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন শ্যামলবাবু। তারপর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শ্যামল চক্রবর্তীর মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।