সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী সেপ্টেম্বরেই শুরু হতে চলেছে চলতি মরশুমের আইপিএল। যা আয়োজন হবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। আগামী রবিবার এই সংক্রান্ত বিষয়েই বৈঠকে বসছে আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। কিন্তু তার আগেই প্রশ্ন উঠল, আসন্ন আইপিএলে কি ক্রিকেটাররা স্ত্রী-বান্ধবী নিয়ে যেতে পারবেন?
সাধারণত অন্যান্যবার একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্রিকেটারদের পরিবার আসে আইপিএলে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি যেহেতু সম্পূর্ণ ভিন্ন, কী হবে চূড়ান্ত অনিশ্চিত। শোনা গেল, আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের তরফে নাকি বোর্ডের কাছে একটা আবেদন জমা পড়েছে যে, স্বল্প মেয়াদের জন্য ক্রিকেটারদের স্ত্রী-সন্তান-বান্ধবীদের আমিরশাহী নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে। বোর্ডের কাছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা নাকি অনুমতি চেয়েছে যদি ধাপে ধাপে ক্রিকেটারদের একেবারে নিকটাত্মীয়দের নিয়ে যাওয়া যায়।
এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, এবারের আইপিএলের পরিবেশ একদম আলাদা হবে। এই বছর প্রত্যেক ক্রিকেটারকে জৈব সুরক্ষা বলয়ে পুরো সময়টা থাকতে হবে। টুর্নামেন্টের দু’মাস। মাসখানেক আগে প্র্যাকটিসের জন্য গেলে সেটাও জুড়বে। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে প্রায় তিন মাস। এ রকম লম্বা একটা সময় ক্রিকেটারদের পরিবার থেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখাটা কঠিন হয়ে যাবে। তার চেয়ে বোর্ড বিবেচনা করে দেখুক, যদি ধাপে ধাপে ক্রিকেটারদের পরিবারকে নিয়ে যাওয়া যায়।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বোর্ড এখনও তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নাকি নেয়নি। এ দিন ওয়াকিবহাল মহলের কেউ কেউ বললেন যে, এই ব্যাপারে অনুমতি পাওয়া কঠিন। এ বারের আইপিএল যে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতিতে হচ্ছে, সেটা বুঝতে হবে। বোর্ড চাইছে, যত কম সংখ্যক লোক নিয়ে আমিরশাহি যেতে। কারণ পুরো সেট-আপটাকে জৈব সুরক্ষা বলয়ে রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। কী গ্যারান্টি আছে যে, ক্রিকেটারদের স্ত্রী-বান্ধবীরা সেই সুরক্ষা বলয়ের নিয়মাবলী মেনে থাকবেন? অনেক ক্রিকেটারের সন্তান বয়সের দিক থেকে শিশু। তিন কিংবা পাঁচ বছর বয়েস। তাদের কি দু’মাস গৃহবন্দি করে রাখা সম্ভব? অতএব, এটা একপ্রকার অসম্ভব।