প্রায় বেশ কিছু বছর আগের কথা। ভারতে বাঘের সংখ্যা যে ভাবে কমতে শুরু করেছিল, তা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন পরিবেশবিদরা।
কিন্তু ২০২০ সালের ২৯ জুলাই, বিশ্ব বাঘ দিবসে ভারত সরকার যে পরিসংখ্যান সামনে আনল তা দেখে অনেকেই বলছেন, গত এক যুগে আমূল পরিবর্তন হয়েছে পরিস্থিতির।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ভারতে বাঘ বেড়েছে ৬ শতাংশ। হিসেব কষে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বে যা বাঘ আছে, তার ৭০ শতাংশ রয়েছে ভারতে। এই মুহূর্তে দেশের ৫০টি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পে বাঘের সংখ্যা দু’হাজার ৯৬৭টি। যা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন, “বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধিই বুঝিয়ে দেয় যে, দেশে প্রকৃতির ভারসাম্য ঠিক আছে। কারণ ভারতের মতো দেশে বন্যপ্রাণ বা জঙ্গল সংরক্ষণে প্রধান সমস্যা হল জমি। তার পরেও সেই কাজে ছেদ পড়েনি।”
রিপোর্ট বলছে, দেশে মধ্যপ্রদেশ ও কর্ণাটকে এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি বাঘ রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে সেন্ট পিটার্সবুর্গ শহরে অনুষ্ঠিত টাইগার সামিত থেকে ২৯ জুলাই দিনটিকে বিশ্ব বাঘ দিবস হিসেবে পালন করা সিদ্ধান্ত হয়। পরিবেশবিদ ও বন্যপ্রাণী গবেষকদের মতে, বাঘের সংখ্যা কমে যাওয়া মানে জঙ্গলের জীব বৈচিত্র্যের মধ্যেও ব্যাপক বদল হয়। যা সামগ্রিক ভাবে পরিবেষের ইকো সিস্টেমের উপর প্রভাব ফেলে। সেদিক থেকে ভারতে যে ভাবে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে তা অত্যন্ত ইতিবাচক।