বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক তিনি। অথচ, সেই কপিল দেবই কি না ভয় পেতেন এক সিনিয়রকে দেখে! সেই ক্রিকেটার হলেন ভেঙ্কটরাঘবন। যাঁর নেতৃত্বে চারটে টেস্ট ও তিনটে ওয়ানডে খেলেছিলেন কপিল।
কপিল বলেছেন, “আমি খুব ভয় পেতাম ওঁকে। প্রথমত, উনি ইংরাজিতে কথা বলতেন। দ্বিতীয়ত, আমরা সবাই ওঁর রাগের সঙ্গে পরিচিত ছিলাম। এমনকি, আম্পায়ার হওয়ার পরও উনি এমন ভাবে নট আউটের কথা জানাতেন, মনে হত যেন বোলারদের বকছেন। ১৯৭৯ সালে যখন ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম, তখন উনি ক্যাপ্টেন ছিলেন। আমি এমন জায়গায় বসতাম যাতে দেখা না যায়। দলে বেদি, প্রসন্ন, চন্দ্রশেখর ছিলেন। ওদের বিশেষ কিছু বলতে পারতেন না। আর স্বাভাবিক ভাবেই আমাকে দেখতে পেলেই রেগে আগুন হয়ে যেতেন। এক কোণে বসে ব্রেকফাস্ট সারতাম। কারণ, আমি অনেকটা খেতাম। আর দেখতে পেলেই বলতেন, এ তো সব সময় খেয়েই চলেছে।”
দেশের হয়ে ৫৭ টেস্ট ও ১৫ ওয়ানডে খেলেছিলেন ভেঙ্কটরাঘবন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর উইকেটের সংখ্যা ১৬১। খেলা ছাড়ার পর তিনি আম্পায়ার হিসেবে জড়িয়ে ছিলেন ক্রিকেটের সঙ্গে।
তার বিষয়ে কপিল আরও বলেছেন, “ইংল্যান্ডে টেস্টে বিকেলের দিকের ব্রেককে বলা হত টি ব্রেক। এটাতে ভীষণ আপত্তি ছিল ওঁর। বলত, কেন শুধু টি-ব্রেক বলা হবে? এটা তো টি ও কফি ব্রেক বলা যায়। ও ছিল এমনই।”