অপেক্ষার কি তবে শেষ হতে চলেছে? বহু প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিন কি আসতে চলেছে আজই? এক ব্রিটিশ সংবাদসংস্থার রিপোর্টে সে সম্ভাবনাই জোরালো হচ্ছে। যদিও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তরফে এখনও কিছু ঘোষণা করা হয়নি।
ব্রিটিশ-সুইডিশ বায়োটেকনোলজি ফার্ম অ্যাস্ট্রজেনেকার সঙ্গে যৌথ প্রয়াসে ডিএনএ ভেক্টর ভ্যাকসিন বানিয়েছে অক্সফোর্ডের ভাইরোলজিস্ট সারা গিলবার্টের টিম। এই ভ্যাকসিনের প্রথম দুই পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্ট ভাল বলেই দাবি করেছিল অক্সফোর্ড। তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চলছিল। এই ট্রায়ালের রিপোর্ট দেখে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বিশ্বের বাজারে ভ্যাকসিন নিয়ে আসার দাবি করেছিল ব্রিটেনের ঐতিহ্যশালী এই বিশ্ববিদ্যালয়।
ব্রিটিশ সংবাদসংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রজেনেকার তৃতীয় পর্যায়ের রিকভারি ট্রায়ালে নাকি আশা দেখা গেছে। সব ঠিক থাকলে আজ অর্থাৎ ১৬ জুলাই ভ্যাকসিন চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজই আবার অন্য এক প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়ালে সাফল্য মিলেছে বলে দাবি করল মার্কিন সংস্থা মডার্না। গবেষকেরা জানান, যাঁদের উপর এর দু’টি ডোজ় দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে করোনা-মুক্ত মানুষের গড় অ্যান্টিবডির থেকেও বেশি মাত্রায় অ্যান্টিবডি মিলেছে। সামান্য ঝিমুনি, মাথাধরার মতো কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও, স্বেচ্ছাসেবীরা ভাল আছেন। ভারতের দ্বিতীয় সংস্থা হিসেবে তাদের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে বলে আজ জানিয়েছে জাইদাস ক্যাডিলা-ও।
গত মাসেই ব্রাজিলে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবীর উপর ‘চ্যাডক্স-১’ প্রতিষেধকের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছিল অক্সফোর্ড। ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমটির দাবি, তাতে অভাবনীয় সাড়া মিলেছে। সব ঠিকঠাক চললে হয়তো সেপ্টেম্বর কিংবা তারও আগে বাজারে চলে আসবে ভ্যাকসিন। ওই সংবাদমাধ্যমের রাজনৈতিক বিভাগের সম্পাদক রবার্ট পেস্টন আজ বলেন, ‘সুখবর আসছে জেনে আর চেপে রাখতে পারলাম না। যেটুকু শুনেছি, তাতে অক্সফোর্ডের গবেষকদের আশা মতোই এর প্রয়োগে যথাযথ অ্যান্টিবডি ও টি-সেল (ঘাতক কোষ) তৈরি হচ্ছে মানবশরীরে।’ কিন্তু অক্সফোর্ড তো এখনও তাদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম পর্যায়ের রিপোর্টই পেশ করেনি! বাঁদরের উপর যে পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়ার শুরু, সূত্রের খবর, শীঘ্রই তার সবিস্তার রিপোর্ট প্রকাশ করতে চলেছে ল্যানসেট। বিশ্ব জুড়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছ’লক্ষ ছুঁইছুঁই। সংক্রমণ ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ছাপিয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় তাই ভ্যাকসিনের দিকেই তাকিয়ে বিশ্ববাসী।