রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ার ইন্ডিয়াকে বিক্রির জন্য দীর্ঘদিন থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। কিন্তু করোনা মহামারীর জেরে সেই চেষ্টা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কর্মী সংখ্যা কমাতে ঘুরপথে ছাঁটাই শুরু হল এয়ার ইন্ডিয়া। দক্ষতার মানদণ্ডকে শিখণ্ডী করে যে কোনও মুহূর্তে কর্মীদের উপরে নেমে আসতে পারে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের বাধ্যতামূলক ছুটির খাঁড়া। ছুটিতে থাকাকালীন মিলবে না বেতন-সহ কোনও সুযোগ সুবিধা।
সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার পরিচালন পর্ষদ। সেখানে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়। কোন কোন কর্মীকে বেতনহীন বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হবে, সেই সংক্রান্ত চূড়ান্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এয়ার ইন্ডিার চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টরের (সিএমডি) হাতে। তবে কোন কোন কারণে কর্মীদের ছুটিতে পাঠানো যেতে পারে, নামকা ওয়াস্তে তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করে দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত এই বিমান সংস্থাটির পরিচালন পর্ষদ।
যেখানে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য, দক্ষতা, কাজের মান, অতীতে অসুস্থতা বা অন্য কোনও কারণে কাজে যোগ না দিতে পারার রেকর্ড- ইত্যাদির ভিত্তিতে এয়ার ইন্ডিয়ার কোনও কর্মীকে বেতনহীন ছুটিতে পাঠানো যেতে পারে।মঙ্গলবার এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে প্রকাশিত এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও কর্মীকে ছ’মাসের জন্য বেতনহীন ছুটিতে (এলডব্লিউপি) পাঠাতে পারবেন সিএমডি রাজীব বনশন। প্রয়োজনে ওই ছুটির মেয়াদ দু’বছর এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারবেন তিনি।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ওপরে বেঁধে দেওয়া মানদণ্ড অনুসারে প্রত্যেক কর্মীর মূল্যায়ন করবেন সদর দফতরের বিভাগীয় প্রধান এবং রিজিওনাল ডিরেক্টররা। কোনও কর্মীকে বাধ্যতামূলক এলডব্লিউপি-তে পাঠানো প্রয়োজন কি না, পূর্ব নির্ধারিত মানদণ্ড অনুসারে তা খতিয়ে দেখে নাম পাঠাতে হবে সদর দফতরে জেনারেল ম্যানেজার (পার্সোনেল)-এর কাছে। সেখান থেকে নামের তালিকা যাবে সিএমডি-র কাছে। তিনি অনুমোদন দিলেই ওই সমস্ত কর্মীদের বিনা বেতনে প্রাথমিকভাবে ৬ মাসের জন্য ছুটিতে যাওয়ার চিঠি ধরিয়ে দেবে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ।