পাকা বাড়ি, সামনে চারচাকা গাড়ি-বাইক, সবই রয়েছে। দেখা যাচ্ছে এসিও। সেই সঙ্গে নজরে পড়ছে বিজেপির পতাকা। সেই পরিবারে সদস্যদের নাম উম্পুনের ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায়! বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ভাঙড়ের কাশীপুর গ্রামের বাসিন্দারা। ক্ষুব্ধ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও।
জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের গৃহকর্তা প্রবীর ঘোষ। পেশায় ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের শ্রমদপ্তরের অস্থায়ী ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। মোটের উপর আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। এলাকায় বিজেপি নেতা হিসেবে বেশ পরিচিতও তিনি। তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠল অসাধু উপায়ে উম্পুনের ক্ষতিপূরণ নেওয়ার চেষ্টার। অভিযোগ, উম্পুনের ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় নাম রয়েছে এই প্রবীর ঘোষে স্ত্রী ও মায়ের। স্থানীয়দের কথায়, শুধু উনি একা নন, এলাকায় এমন বহু মানুষ রয়েছেন যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত নন, কিন্তু ঠিকানা ভাঁড়িয়ে ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছেন। এ প্রসঙ্গে ভাঙড় ২ নম্বরের বিডিও কৌশিক মাইতি বলেন, ‘প্রবীরবাবুর বিষয়টি জানিয়ে শানপুকুরের ছেলেগোয়ালিয়র ১১ নম্বর সংসদের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য তুলসি দাস অভিযোগ করেছেন। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ অভিযোগকারীর কথায়, ‘বিজেপি নেতারা পরিচয়-ঠিকানা ভাঁড়িয়ে ত্রাণের আবেদন করছে আর বদনাম হচ্ছে শাসকদলের! এটা কোনওভাবেই মানা হবে না।’
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি ওই বিজেপি নেতার। তাঁর সাফ কথা, এখানে কোনও অন্যায় নেই, কারণ সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়নি যে পাকাবাড়ি থাকলে ক্ষতিপূরণ মিলবে না! বিজেপি নেতার এই মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক। বিজেপি নেতার এই কীর্তি অস্বস্তি বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবিরের।