কথায় আছে, একা রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর। ঠিক একই হাল এখন ভারতীয় অর্থনীতির। একে তো নোটবন্দী, জিএসটির পরে অর্থনীতির ঝিমুনি তো ছিলই। মন্দার কোপেও ভুগছিল বাজার। এখন গোদের ওপর বিষফোঁড়ার সামিল হয়েছে করোনা ও তার জেরে চলা লকডাউন। এই অতিমারি পরিস্থিতিতেই প্রথম কোয়ার্টারের ফলাফল ঘোষণার দিকে এগোচ্ছে ভারতের তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলি। আর এর সূচনা করতে চলেছেন টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস। আজই এই সংস্থা তাদের প্রথম কোয়ার্টারের আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করবে বলেই জানা গিয়েছে। এপ্রিল থেকে জুন কোয়ার্টারের লাভের অঙ্ক নীচের দিকেই থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর থেকে বেরিয়ে ফের লাভের মুখ সংস্থাটি দেখতে পারে অর্থবর্ষের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে।
তবে এরই মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর এই যে, করোনা লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে চলা ওয়র্ক ফ্রম হোম-এর কারণে অনেকটাই কমে গিয়েছে সংস্থাগুলির ওভারহেড কস্ট। ফলে বাড়বে অপারেটিং মার্জিন। সেই সঙ্গে সহযোগী হতে পারে, টাকার পড়তি মূল্য এবং ডলারের বাড়তি দাম। সিএলএসএ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের প্রথম পাঁচটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা টিসিএস, এইচসিএল টেকনোলজিস, ইনফোসিস ইনফোটেক, উইপ্রো এবং টেক মাহিন্দ্রা প্রথম কোয়ার্টারে ডলার রেভিনিউতে ৫ থেকে ৮ শতাংশ ক্ষতি রিপোর্ট করতে পারে। আর এর সবকিছুর জন্যেই দায়ী করোনা ভাইরাসের সুদূরপ্রসারী প্রভাব। অনুমান করা হচ্ছে টিসিএস-এর রেভিনিউ পড়তে পারে ৩.৫ শতাংশ, ইনফোসিসের ক্ষেত্রে ৩.৭ শতাংশ, এইচসিএল-এর ৬ শতাংশ, উইপ্রোর ৫.৭ শতাংশ এবং টেক মহিন্দ্রার ৭.৫ শতাংশ।