আসামের বন্যা পরিস্থিতির ভয়ানক অবনতি হয়েছে। সরকারি হিসেবে, এ পর্যন্ত ১৬ জেলার ২.৫৩ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। শুক্রবার ডিব্রুগড়ের তেঙ্গাখাটে বন্যার জলে ডুবে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬।
আসাম রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যায় রাজ্যের ৭০৪ গ্রামের ২.৫৩ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ডিব্রুগড় ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত জেলার তালিকায় রয়েছে ধেমাজি, লক্ষ্মীপুর, বিশ্বনাথ, উদালগুড়ি, দারাং, বাকসা, নলবাড়ি, কোকরাঝাড়, বরপেটা, নগাঁও, গোলাঘাট, জোরহাট, মাজুলি,শিবাসাগর ও তিনসুকিয়া।
শুধু ধেমাজি জেলাতেই ৮৮,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তিনসুকিয়ায় ৫৯,০০০। নদী-দ্বীপ জেলা মাজুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৩২,০০০। ডিব্রুগড়, লক্ষ্মীপুর ও নলবাড়িতে যথাক্রমে ২৩ হাজার, ১৩ হাজার ও ৮,৪০০ মানুষ ভয়ানক ক্ষতির সম্মুখীন।
অসম সরকারের প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী, ১১ হাজার ৭৬৫.২৭ হেক্টর জমির ফসল এখন জলের তলায়। রাজ্যজুড়ে ১৪২টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ১৮,০০০ বন্যার্ত। সরকারি আধিকারিকেরা জানান, শুধু মানুষেরই ক্ষতি নয়, এ বছর বন্যায় ১.৩৮ লক্ষ গবাদিপশুরও ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দেখা গিয়েছে নিজেদের জিনিসপত্র ও গবাদি পশুদের সঙ্গে নিয়ে কোমর-উঁচু জলের ওপর দিয়ে অন্য আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছেন।
আসাম সরকার জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৪২টি রিলিফ ক্যাম্প তৈরি হয়েছে। মত ৬টি জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে এই ক্যাম্পগুলো। এখনও পর্যন্ত ১৮ হাজার বন্যা দুর্গত মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। প্রায় আড়াই লাখ লোক এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও খবর।