লাদাখে আগ্রাসন চালিয়ে দেশের কতটা জমি নিজেদের দখলে নিয়েছে চীন? চীনের সেনাবাহিনীকে সরাতে কী ব্যবস্থাই বা নিয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার? এ নিয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আর তারপরেই তাঁকে নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। এবার তারই পাল্টা দিয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র মণীষ তিওয়ারি বলেন, ‘আমরা ওঁদের বলতে চাই যে দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদ এনডিএ-বিজেপি-র একচেটিয়া সম্পত্তি নয় এবং তা আইনমন্ত্রীরও সম্পত্তি নয়। সরকারের কাছে কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা দেশদ্রোহিতা নয়, বরং তাঁদের এই জবাব না দেওয়ার বিষয়টিই দেশপ্রেমিক সুলভ নয়।’
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে ইন্দো-চিন সীমান্ত উত্তেজনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল। এই টুইটের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলেন এই ধরণের আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে টুইটারে রাহুল গান্ধীর কোনও প্রশ্ন করা উচিত নয়। এরপরই মণীষ তিওয়ারি বলেন, প্রাক্তন সেনা জেনারেল এবং প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে প্রায় ৪০-৬০ বর্গকিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড চিনা সৈন্যরা ‘অবৈধভাবে দখল’ করেছে। মোদীকে বলতে হবে যে এর জন্য কে বা কার দায়বদ্ধ এবং এর কোনও দায় তিনি নেবেন কিনা। তাঁর প্রশ্ন, ‘এটা কি সত্যি যে চীনের সেনারা ৪০-৬০ বর্গকিলোমিটার ভারতীয় অঞ্চল দখল করেছে? এর জন্য কে দায়ী? সরকার কি এই ঘটনার জবাবদিহি করবে?’ ওই কংগ্রেস নেতা এই প্রশ্নও করেন যে, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চীনা অনুপ্রবেশ সম্পর্কেও জানতে চাই। চীনা সেনারা ভারতে কীভাবে প্রবেশ করতে পেরেছিল?’