বুধবার রাজস্থানের কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি তাঁর সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, বিধায়ক কেনাবেচার জন্যই রাজ্যসভা ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে দু’মাস। বিজেপি এখনও রাজস্থান ও গুজরাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়ককে টাকা দিয়ে বশ করতে পারেনি।
বিজেপি যাতে বিধায়ক না কিনতে পারে, সেজন্য রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়কদের বুধবারই এক রিসর্টে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অশোক গেহলট বলেন, ‘আর কিছুদিনের মধ্যে রাজ্যসভার ভোট হবে। গুজরাত ও রাজস্থানে বিজেপি যদি প্রয়োজনীয় সংখ্যায় বিধায়ক কেনাবেচা করতে পারত, তাহলে ওই ভোট হত দু’মাস আগেই। বিধায়ক কেনার জন্য তারা দু’মাস ধরে চেষ্টা করেছে। তাতেও পরিস্থিতি বদলায়নি।’
বুধবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী দলীয় বিধায়কদের সামনে বক্তব্য পেশ করেন। তিনি বলেন, ‘এই বিধায়ক কেনাবেচার রাজনীতি আর কতদিন চলবে? আগামী দিনে কংগ্রেস যদি বিজেপিকে বড় ধাক্কা দেয়, তাহলে আশ্চর্যের কিছু নেই। মানুষ সব বোঝে।’ বিধায়কদের সঙ্গে একদফা বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ আছি।
রাজ্যে ‘সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টার’ অভিযোগে বুধবার কংগ্রেস অ্যান্টি করাপশান ব্যুরোয় অভিযোগ জানায়। তারা বলে, কংগ্রেসের বিধায়কদের লোভ দেখানো হচ্ছে। রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক মহেশ যোশী বলেন, ‘আমি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি, আমাদের বিধায়কদের লোভ দেখানো হচ্ছে। যে নির্দল বিধায়করা আমাদের সরকারকে সমর্থন করেন, তাঁদেরও নানাভাবে টোপ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এই ধরনের প্রচেষ্টা নিন্দনীয়।’ গত এক বছরে কর্নাটক ও মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা হারিয়েছে কংগ্রেস। দু’টি রাজ্যেই বহু সংখ্যক কংগ্রেস বিধায়ক দলত্যাগ করেছিলেন। সেজন্যই সরকার পড়ে গিয়েছে।