আসামের তিনসুকিয়ার বাঘজানে আগুন নেভাতে গিয়ে অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের দুই কর্মীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। অথচ জুনের প্রথম সপ্তাহে এই গ্যাস লিকের কারণেই অন্তত পাঁচ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হলেও কারও কোনো তাপ উত্তাপই নেই বিজেপি সরকারের। এতেই ক্ষোভে ফুঁসছে বাঘজান এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চল।
৫ জুন, আসামের স্থানীয় সংবাদপত্র অসমীয়া প্রতিদিনে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী বাঘজানের ওই তেলকূপের কাছে অবস্থিত নতুনগাঁও গ্রামের পাঁচ জন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে বিষাক্ত গ্যাসের কারণে।
ওই রিপোর্টে বলা হয় ১ জুন মারা গিয়েছেন পেটু কিষাণ। বুমনি দত্ত আর জনমনি সনোয়ালের মৃত্যু হয়েছে ৩ জুন। ৪ জুন মারা গিয়েছেন আসম গহৈন আর প্রবীণ দত্ত।
কৃষক সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মী সোমেশ্বর নারাহ, দ্য ওয়্যারের কাছে অভিযোগ করেন, এই পাঁচজন গ্রামবাসীই থাকতেন তেলকূপের কাছে। তাঁরা অত্যন্ত গরিব, আর সেই কারণেই তাঁদের দুর্দশার কথা কেউ শুনতেই চায়নি, তাঁদের মৃত্যু নিয়ে কোথাও কোনো হইচইও হয়নি।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে ওআইএলের দুই কর্মী দুর্লভ গগৈ আর তিহেশ্বর গোহৈনের মৃতদেহ উদ্ধার হয় আগুন লেগে যাওয়া তেলকূপের কাছ থেকেই। তাঁরা দু’ জনেই সংস্থার অগ্নিনির্বাপণ পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মঙ্গলবার ভয়াবহ আগুন লেগে যাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান তাঁরা। দুর্লভ গগৈ প্রাক্তন ফুটবলার।