চলতি মাসেই প্রথমে লাদাখে এবং পরে উত্তর সিকিমের নাকু লা অঞ্চলে হাতাহাতিতে জড়িয়েছিল ভারত ও চীনের বাহিনী। তারপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় এলএসি বরাবর চীন বিপুল সৈন্য সমাবেশ শুরু করার পরে। এই মুহূর্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চীনের সঙ্গে ভারতের বিরোধটা ঠিক কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেখানে কী কী ঘটছে, কেন্দ্রকে কোনও রাখঢাক না রেখে তা দেশের মানুষকে জানাতে বললেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁর বক্তব্য, সরকার এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে থাকায় এক এক জন এক এক রকম ধরে নিচ্ছেন আর তাতে আরও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হচ্ছে। আর সেটা হচ্ছে করোনা সঙ্কটে দেশ যখন ব্যতিব্যস্ত, ঠিক সেই সময়েই।
বৃহস্পতিবার তাঁর টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারকে এই পরামর্শ দিয়েছেন রাহুল। দু’দিন আগে লাদাখের পরিস্থিতি ও চীনের সঙ্গে চলতি উত্তেজনাকে ‘দেশের পক্ষে অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলা হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে। আর এদিন টুইটে রাহুল লিখেছেন, ‘চীন সীমান্তে পরিস্থিতিটা ঠিক কী রকম, সরকার সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে। তাতে এক এক জন এক এক রকম ভেবে নিচ্ছেন। এর ফলে, এই সঙ্কটের সময়েও আরও বেশি অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হচ্ছে। তাই কোনও রাখঢাক না রেখে সরকারকে এ বার মানুষের সামনে দাঁড়াতে হবে। ঠিক কী কী হচ্ছে, সব কিছুই জানাতে হবে।’
মঙ্গলবারও সরকারের কাছে একই আর্জি জানিয়েছিলেন রাহুল। এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে ‘স্বচ্ছ্বতার প্রয়োজনীয়তা’র কথা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন।রাহুল বলেছেন, ‘আমরা নানা ধরনের গল্প শুনছি। সেগুলির উপর নির্ভর করে অনুমানের ভিত্তিতে কিছু বলতে চাই না। এই পরিস্থিতিতে সরকারকেই সব কিছু খোলসা করতে হবে। মানুষকে জানাতে হবে সব কিছু। কোনও রাখঢাক না রেখে। যাতে পরিস্থিতির গুরুত্ব মানুষ বুঝতে পারেন আর সেই মতো নিজেদের তৈরি রাখতে পারেন।’