গোয়েন্দা সূত্রে আগাম খবর পেয়ে জঙ্গীদের গাড়িবোমা বিস্ফোরণের ছক বানচাল করে দিয়েছে নিরপত্তাবাহিনী। আরও একটা আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা ছিল কি? গোযেন্দা সূত্র জানাচ্ছে, দ্বিতীয়বার পুলওয়ামায় বড়সড় ফিদাঁয়ে হামলারই ছক কষে থাকতে পারে হিজবুল মুজাহিদিন। কারণ পুলওয়ামার রাজপোরা এলাকার চেকপোস্টের কাছে ভুয়ো রেজিস্ট্রেশন নম্বরের যে সাদা স্যান্ট্রো গাড়িটি উদ্ধার হয়েছে সেটি দক্ষিণ কাশ্মিরের শোপিয়ান জেলার এক হিজবুল কম্যান্ডারের। গোয়েন্দাদের আরও অনুমান, এই গোটা পরিকল্পনার পিছনে রয়েছে হিজবুলের সক্রিয় সদস্য আদিল আহমেদ হাফিজ। বুধবার রাতে বিস্ফোরক ঠাসা ওই স্যান্ট্রো গাড়িটি আদিলই চালিয়ে নিয়ে এসেছিল রাজপোরায়।
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের উপর সেনা কনভয়ে বিস্ফোরক ঠাসা স্করপিও নিয়ে হামলা চালিয়েছিল জইশ-ই-মহম্মদের ফিদায়েঁ জঙ্গি আদিল মহম্মদ দার। সেনাদের রক্তে ভিজেছিল পুলওয়ামার মাটি। আত্মাঘাতী গাড়িবোমা বিস্ফোরণে শহিদ হয়েছিলেন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। দ্বিতীয়বার পুলওয়ামায় তেমনই নাশকতার চেষ্টা চালিয়েছে আরও এক আদিল। গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, এই আদিল হাফিজও একসময় ছিল জইশের সক্রিয় সদস্য, পরে যোগ দেয় হিজবুল মুজাহিদিনে।
পুলওয়ামার রাজপোরা এলাকার চেকপোস্টের কাছে ভুয়ো রেজিস্ট্রেশন নম্বরের যে সাদা স্যান্ট্রো গাড়িটি উদ্ধার হয়েছে সেটি দক্ষিণ কাশ্মিরের শোপিয়ান জেলার এক হিজবুল কম্যান্ডারের। গোয়েন্দাদের আরও অনুমান, এই গোটা পরিকল্পনার পিছনে রয়েছে হিজবুলের সক্রিয় সদস্য আদিল আহমেদ হাফিজ।
জম্মু-কাশ্মীরের ইনস্পেকটর জেনালের বিজয় কুমার জানিয়েছেন, পুলওয়ামার লেথপোরার স্টাইলে ফের হামলা চালাতে পারে জঙ্গীরা এমন খবর বহুদিন থেকেই দিচ্ছিলেন গোয়েন্দারা। বিস্ফোরক বোঝাই একটি সাদা গাড়ি পুলওয়ামায় হামলা চালাতে পারে এমন খবরও ছিল। আইজি জানিয়েছেন, প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল। পুলওয়ামার বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট তৈরি করে সেনা, আধাসেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল টিম। বুধবার বিকেলে রাজপোরা এলাকার একটি চেকপোস্টের কাছে এমনই একটি সাদা স্যান্ট্রো গাড়ি দেখে শবণ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে নিরাপত্তা বাহিনী। গুলির আওয়াজেই পালায় গাড়ির চালক। ৪০-৪৫ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ঠাসা ছিল গাড়িটিতে। পুলিশ ও গোয়েন্দাদের দাবি, এই গাড়িটিই চালাচ্ছিল আদিল আহমেদ হাফিজ। তবেএই কাজে সে একা ছিল না। গোয়েন্দাদের অনুমান, পাকিস্তানের জইশ গোষ্ঠীর কম্যান্ডার ফৌজি ভাইয়ের নেতৃত্বেই এই পরিকল্পনা সাজিয়েছিল উপত্যকার হিজবুল গোষ্ঠী। খুব সম্ভবত ফিদায়েঁ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল আদিল হাফিজকে।