করোনা আতঙ্কে সদ্যোজাত শিশু-সহ ভাড়াটিয়াকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়ার আভিযোগ উঠল বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, পুরনো বাড়ির মালিক এই মাসের মধ্যেই তাদের বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনাটি উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৭ নং ওয়ার্ডের নোনা শিবতলা এলাকায়। এই ঘটনায় অবাক প্রতিবেশীরা।
এই অবস্থায় অন্য এক প্রতিবেশী তাঁদের বাড়িতে থাকতে দিয়েছেন। তাঁরা সেখানেই রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী শঙ্খ হাইতের স্ত্রী শম্পা হাইত দিন কয়েক আগে এক সন্তানের জন্ম দেন বেসরকারি হাসপাতালে। সোমবার তাঁদের ছুটি হয়। তাঁরা সন্তানকে নিয়ে ভাড়াবাড়িতে আসেন। অভিযোগ, বাড়ির মালিক তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। দীর্ঘক্ষণ তাঁরা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন। শেষে এক প্রতিবেশী তাদের বাড়িতে আশ্রয় দেন শম্পাদের।
এদিকে ওই পুরানো ভাড়াবাড়িতে এখনও থাকেন শঙ্খর বাবা মা। অভিযোগ, বাড়ির মালিক তাঁদের নাতনিকে দেখতে যেতে পর্যন্ত দিচ্ছে না। বলছে, ওখানে গেলে আর এই বাড়িতে ঢুকতে দেবে না। তাছাড়া এই সময় ঘর ছাড়া অসুবিধা বলায় বাড়িওয়ালা জলের ও ইলেকট্রিক লাইন কেটে দেন। বাড়িওয়ালা মমতা মান্না জানান, তাঁর কিছু সমস্যার কারণে তিনি তাদের ঘরে ঢুকতে দেননি।
জানা গেছে আগামী ২১ দিন পর্যন্ত তাদের ঘরে ঢুকতে দেবেন না। অপরদিকে বিষয়টি নিয়ে উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস বলেন, ‘এমন একটা বিষয় শুনেছি। ওই ভদ্রমহিলা একটা মিথ্যা আতঙ্কে ভুগছেন। তাই ওই দম্পতিকে হয়তো বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে ওদের ঘরে ঢোকানোর ব্যবস্থা করব।’
শম্পারা জানান, তাঁরা দু’বছর ধরে বসবাস করছেন ওই ভাড়াবাড়িতে। সঙ্গে শঙ্খর মা-বাবাও থাকেন। শঙ্খ হাইত বলেন, ‘ওরা শুধু ঘরে ঢুকতে দেননি, এমনকি ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ঘর ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়। লকডাউনের সময় কোথায় যাই। মহা সমস্যায় পড়েছি।’