করোনাভাইরাসের ফলে থমকে গিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। ভারতের অর্থনীতিতেও চূড়ান্ত আঘাত হেনেছে কোভিড-১৯। এই পরিস্থিতিতে দুর্বল হয়ে পড়া ভারতীয় বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির উপর যাতে বিদেশি নজর না পড়ে সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্ক করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এই সময়ে ভারতীয় সংস্থাগুলিকে সুরক্ষিত রাখার কাজ সরকারকেই করতে হবে বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।
এই প্রসঙ্গে টুইট করে রাহুল লিখেছেন, ‘অর্থনীতিতে যে ব্যাপক অধোগতি এসেছে, তার ফলে ভারতের বহু সংস্থাকে হাতের মুঠোয় নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাবে বিদেশি কর্পোরেট সংস্থাগুলি। জাতীয় সংকটের এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের উপর কোনও বিদেশি সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার অনুমতি যেন কোনও ভাবেই না দেয় সরকার।’
এখন প্রশ্ন হল রাহুল গান্ধী হঠাৎ আজই কেন এই কথা বললেন? পর্যবেক্ষকদের মতে, ব্যাপারটা হঠাৎ করে হয়নি। মন্দার সুযোগ নিয়ে বহুজাতিক সংস্থাগুলির উপর চিনা আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে। ভারতের অন্যতম ঋণদায়ী সংস্থা এইচডিএফসি-র ১.০১ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছে পিপলস ব্যাঙ্ক অব চায়না (পিবিওসি)। সেই সূত্র ধরেই হয়তো রাহুল গান্ধী এই আশঙ্কার কথা বলেছেন।
গত আর্থিক বছরের শেষে ৩১ মার্চ বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ তথা বিএসই-তে এইচডিএফসি তাদের সংস্থার অংশীদারিত্ব নিয়ে বিবরণ পেশ করেছে তা থেকেই এই তথ্য জানা গিয়েছে। হিসাব মতো এইচডিএফসি-র ১.০১ শতাংশ তথা ১.৭৫ কোটি শেয়ার পিপলস ব্যাঙ্ক অব চায়নার কাছে রয়েছে।
দেশজোড়া লকডাউনের ফলে আম্বানি, আদানি-সহ ভারতের বহুজাতিক কর্পোরেট সংস্থাগুলির লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। অনিল আম্বানী, গৌতম আদানিরা বিশ্বের ধনী ব্যক্তির ১০০ জনের তালিকা থেকেও বেরিয়ে গিয়েছেন। ফলে সংকট কতটা গুরুতর তা স্পষ্ট।