বেশ কয়েকদিন ধরেই মুখভার আকাশের। কিন্তু বিক্ষিপ্তভাবে ছাড়া বৃষ্টির দেখা নেই কোথাও। ফলে গুমোট হয়ে রয়েছে আবহাওয়া। কলকাতাতেও সোমবার সকাল থেকেই আংশিক মেঘলা আকাশ। রয়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও। তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বিকেল ও সন্ধ্যার দিকে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে তিলোত্তমায়।
মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি-সহ প্রায় সব জেলাতেই ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন দক্ষিণবঙ্গের ৮টি জেলাতেও হতে পারে ঝড়-বৃষ্টি। সেগুলি হল- পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া। বুধবারও উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই এবং দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে জেলায় ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানের ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বঙ্গে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে ১৭ এপ্রিল, শুক্রবার। উত্তর-পশ্চিম ভারতের এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবেই মেঘের সঞ্চার হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের আকাশে। এছাড়া আরব সাগরের কেরালা উপকূলে এবং বাংলাদেশে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে কর্ণাটক থেকে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত। এই সবের মিলিত প্রভাবেই আগামী কয়েকদিন ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর।
সোমবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ন’টি জেলায় ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং কলকাতায়। তবে এদিন উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আরও কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিতভাবে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। চবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পাশাপাশি শিলবৃষ্টি হতে পারে বলে খবর। একই সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে দমকা হাওয়া।