এই আধুনিক শিক্ষিত সমাজও তাঁদের অন্য চোখে দেখে। রাস্তাঘাটে, বাসে-ট্রামে দেখলেই নাক সিটকায়। প্রতিবেশী, সমাজ তো দূরের কথা। তাঁদের প্রতি বাড়ির আত্মীয়-স্বজন, এমনকী নিজের বাবা-মায়ের ব্যবহারও হয় বড়ই বেদনাদায়ক। কারণ সমাজের আর পাঁচটা মানুষের মতো ‘সাধারণ’ তকমাটা নেই। কিন্তু আছে মনুষ্যত্ব, দয়া-মায়া ও মানবিক বোধ। তারই উদাহরণ সিঙ্গুরের এক বৃহন্নলা পাখি সাউ। নিজের ক্ষুধা নিবৃত্তি হয় ভিক্ষা করে। কিন্তু করোনার জেরে লকডাউন পরিস্থিতিতে গৃহবন্দী দরিদ্র, পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে লক্ষাধিক টাকা দান করলেন পাখি।
প্রসঙ্গত, হগলীর সিঙ্গুরের জলাঘাটার বাসিন্দা পাখি। সিঙ্গুর-সহ আশপাশের অঞ্চলে তার যথেষ্ট সুনাম আছে। এর আগে যে কোনও সামাজিক কাজে সহযোগিতা করেছেন পাখি সাউ। বর্তমানে দেশ-সহ সারা পৃথিবী জুড়ে চলা এই মারণ কোরোনা ভাইরাসের জেরে আতঙ্কগ্ৰস্ত গোটা পৃথিবীর মানুষ। ভারত-সহ অন্যান্য দেশে কোরোনা প্রতিরোধে চলছে লকডাউন। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়চ্ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ভারত তার থেকে ব্যতিক্রম নয়। সরকার লকডাউন করে সবাইকে ঘরবন্দী করে জোরদার লড়াই চালাচ্ছে করোনা মোকাবিলায়।
এই পরিস্থিতিতে ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রাণ তহবিলে সবাইকে সাহায্যের আর্তি জানিয়েছেন। আর সেই ত্রাণ তহবিলে ১ লক্ষ ১ হাজার টাকা দান করে নজির গড়লেন বৃহন্নলা পাখি। সিঙ্গুর অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের হাতে চেক তুলে দেন তিনি। পাখি সাউ জানান, করোনা ভাইরাসের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এই টাকা দান করলাম। যাতে গরিবদের কাজে লাগে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে তিনি জানান করোনা মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভাল কাজ করছেন। আশা করি, অনেকে মুখ্যমন্ত্রীকে সাহায্য করে এই করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় এগিয়ে আসবেন।