রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় প্রথম থেকেই সচেষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০ কোটির ফান্ড থেকে সরকারি হাসপাতালে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ সবটাই নিজের হাতে দায়িত্বে নিয়ে করেছেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলন করে একটা হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছেন। এবার দলনেত্রীকে এগিয়ে এলেন তাঁর দলের সহযোদ্ধারাও। লকডাউন চলায় অসুবিধায় পড়েছেন বিভিন্ন অসহায়, দুঃস্থ ও রোগীর পরিবার। এবার তাঁদের সাহায্যের জন্যই হাত বাড়িয়ে দিলেন মেয়র পারিষদরা। বিভিন্ন জায়গার খণ্ড খণ্ড চিত্রে উঠে এল মানবিকতার দৃষ্টান্ত। মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদেরা। সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দিলেন খাবার। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হল ভাত, ডাল, সবজি, রুটি, ডিম।
শনিবার সাধারণ মানুষের জন্য এই উদ্যোগ নেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার ও মেয়র পারিষদ দেবাশীষ কুমার। এদিন ফুলবাগান বিধানচন্দ্র রায় হাসপাতালে খাবার বিতরণ করেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার। তিনি বলেন, ‘এদিন ৩০০ জনের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৬০ জন খেয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ৭ দিন এই খাবার দেওয়া হবে। সময় সীমা বাড়ানো হবে কী না তা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ তিনি এ-ও জানান, লকডাউন পরিস্থিতিতে হাসপাতালের আশেপাশে খাবার দোকান বন্ধ। ফলে অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন রোগীর পরিবারে। তাঁদের জন্যই বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করা হল।
অন্যদিকে, এদিন ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে রুটি বিতরণ করলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশীষ কুমার। ‘রুটি অন হুইল’ এই পদ্ধতিতে চলে বিতরণ। এদিন রুটির সঙ্গে তরকারিও দেওয়া হয় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। তবে শুধুমাত্র ওই ওয়ার্ডের জন্যই নয়, আশপাশের ওয়ার্ডের থেকেও কেউ এলে তাঁকেও দেওয়া হয়েছে রুটি। দেবাশীষ কুমার বলেন, ‘বর্তমানে অনেকেই বাইরে থেকে রুটি কিনে খান। লকডাউন পরিস্থিতিতে তাঁদের অসুবিধা হয়ে পড়েছে। তাই তাঁদের সুবিধার্থে রুটি তরকারি বিতরণ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত লকডাউন চলবে ততদিন এই ভাবে রুটি বিতরণ করা হবে।’ বেলা বারোটা থেকে ত্রিধারায় চলে এই রুটি বিতরণ। পরে কালী মন্দির সহ ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরে ‘রুটি মেকার’।