বাংলার প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয় নবান্নের নির্দেশ, ২২ শে মার্চের পর বাইরে থেকে যাঁরা রাজ্যে ফিরে এসেছেন তাঁদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যে কোনও সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর হাতে সরকারি সিল লাগিয়ে দেওয়া হবে তাঁদের। এরপর বাড়িতেই থাকতে হবে ১৪ দিন। সেই সব নাগরিকের বাড়ির গায়েও লাগানো হবে সরকারি নোটিস। আর সেটা করতে গিয়েই মারধরের সম্মুখীন হলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
জানা গেছে, বাড়ির গেটে হোম কোয়ারেন্টাইনের সরকারি নির্দেশিকা লাগানো সত্ত্বেও সেই নির্দেশিকা ছিঁড়ে ফেলেছেন পরিবারের লোক। ঘুরে বেড়াচ্ছেন খোলামেলা। এদিন ফের সরকারি নির্দেশিকার নোটিস লাগাতে এসে হেনস্থার শিকার হলেন স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ। তাঁদের গালিগালাজ ও মারধর করার অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জের নেতাজি পল্লির একটি পরিবারের বিরুদ্ধে। অবশেষে ওই পরিবারের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ জানান স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর।
ওই পরিবারের কন্যা ২৩ তারিখ বেঙ্গালুরু থেকে ফিরেছেন। অভিযোগ, বুধবার পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন নোটিস লাগালেও সেই পোষ্টার রাতে ছিঁড়ে ফেলেন ওই বাড়ির লোকেরা। বৃহস্পতিবার নতুন করে পোষ্টার লাগাতে গেলে ফের তা নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে ওই পরিবারের সদস্যদের বচসা বাধে। স্বাস্থ্যকর্মীদের তাঁরা গালিগালাজ ও মারধর করেন বলে অভিযোগ।
পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের সুপারভাইজার শীলা অধিকারী বলেন, ওই পরিবারের মেয়ে বেঙ্গালুরু থেকে ফিরেছে খবর পেয়েই আমরা ওই বাড়িতে গিয়ে লিফলেট দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বলে এসেছিলাম। তখনই আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ওঁরা। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে তো যাননি উল্টে সেই নোটিসও ছিঁড়ে দেন। কোনও নির্দেশ না মেনে লাগাতার ঘোরাঘুরি করছেন পাড়ায়। এই খবর পেয়ে আজ আমরা যেতেই আমাদের কর্মীদের গালিগালাজ ও মারধর করেন।
এরপরেই ওই পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় কাউন্সিলর রতন মজুমদার। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় রায়গঞ্জের নেতাজি পল্লিতে। রতনবাবু বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে এমন আরও পরিবার রয়েছেন। কাউকে নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। এঁদের নিয়েই শুরু থেকে অশান্তি হচ্ছে। তাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’