প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মঙ্গলসূত্র’ মন্তব্যে অসন্তোষ বাড়ছে। সিপিআইএম(এল), কংগ্রেসের পর এবার মোদীর বিরুদ্ধে কমিশনে চিঠি লিখলেন ১৭ হাজার ৪০০ আমনাগরিক। ফলে একপ্রকার চাপে পড়েই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন।
রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্যকে এক বাক্যে ঘৃণাভাষণ আখ্যা দিয়ে তার নিন্দায় সরব হয়েছেন বিরোধী সব নেতা। রবিবার রাজস্থানের একটি সভায় গিয়ে তিনি বলেন, “সরকারে থাকাকালীন কংগ্রেস বলেছিল দেশের সম্পদের উপর মুসলিমদের অধিকার সকলের আগে। অর্থাৎ দেশের সম্পদ বন্টন করা হবে তাদের মধ্যে, যাদের পরিবারে বেশি সন্তান রয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে দেশের সম্পদ। কংগ্রেসের ইস্তেহারেই বলা হয়েছে, মা-বোনদের সোনার গয়নার হিসেব করে সেই সম্পদ বিতরণ করা হবে। মনমোহন সিংয়ের সরকার তো বলেই দিয়েছে, দেশের সম্পদে অধিকার মুসলিমদেরই। আপনাদের মঙ্গলসূত্রটাও বাদ দেবে না।”
লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র নিন্দা শুরু করেছে কংগ্রেস। এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল গান্ধী বলেন, “প্রথম দফার ভোট শেষ হতেই হতাশ হয়ে পড়েছেন মোদি। সেই জন্যই মিথ্যা কথা বলে আমজনতার নজর ঘোরাতে চাইছেন। কিন্তু দেশের মানুষ সমস্ত সমস্যার কথা মাথায় রেখেই ভোট দেবেন।”
মোদীর সেই মন্তব্য নিয়ে কমিশনে অভিযোগ ঠুকেছে কংগ্রেস ও সিপিআইএম লিবারেশন। শুধু তাই নয়, প্রায় ১৭ হাজার ৪০০ সাধারণ নাগরিকও অভিযোগ করেছেন মোদীর বিরুদ্ধে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, “প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, সেটা ভারতের একাংশের নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারে আঘাত। মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর সরাসরি আক্রমণ।” নাগরিকদের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন মোদীর মন্তব্য খতিয়ে দেখছে। এমনটাই দাবি সূত্রের।